মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরার “হাজরাপুরের লিচু বিখ্যাত মাগুরায় কৃষকের পাশে ছাত্রলীগ জীবন যুদ্ধে হারতে বসেছে রিনা খাতুন! ৫২ বছরে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালো বঙ্গভবন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছা মাগুরাবাসীকে পবিত্র ঈদ- উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. ওহিদুর রহমান টিপু মাগুরা মহম্মদপুরে ৩০ পিস ইয়াবা সহ যুবক আটক মোহনপুর মডেল প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ৮৫,০০০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করলেন মাগুরা জেলা পুলিশ মাগুরার বেরইল পলিতায় খুনের ঘটনায় ৮ ঘন্টার মধ্যে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জন গ্রেফতার মোহনপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল সরকার মতিন বহিষ্কার হারানো ১১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক মোবাইলের প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মোহনপুরে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখা  সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মানবিক সাহায্যের আবেদন মোহনপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক মোহনপুরে শ্রমিকদলের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন মহম্মদপুরে চাচিকে বিয়ে করে শ্রী’ঘরে যুবক মাগুরায় লিচু ফুলের মধু আহরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাবিতে মাগুরা জেলা সমিতির সভাপতি শুভ শিকদার সম্পাদক মোঃ আল আমিন
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

আইলার ১২ বছর

শাহারুল আমিন / ৩৪৭ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১, ৭:২৮ অপরাহ্ন

আইলার ১২ বছর।
পুনর্বাসিত হয়নি সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার। তার উপর আবারও আম্পানের আঘাতে লন্ড ভন্ড আশ্রয়হীন জনপদে চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির তীব্র হাহাকার। সংস্কার হয়নি বেঁড়িবাধ।

শাহারুল আমিন,বার্তা সম্পাদকঃ

আজ ভয়াল ২৫ মে। সর্বগ্রাসী আইলার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের উপকুলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত হাজার হাজার পরিবার এখনও পূর্নবাসিত হয়নি। আশ্রয়হীন জনপদে এখনও চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির জন্য তীব্র হা-হা-কা-র। সর্বগ্রাসী আইলা আজও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার, হাজার মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সংস্কার করা হয়নি উপকুলীয় এলাকা ঝকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ। তার উপর আবারও ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে উপকুলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছাস ও ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা “আইলা” আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় জনপদে। মুহুর্তের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদী পশু আর ঘরবাড়ি । ক্ষণিকের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখো পরিবার । লক্ষ লক্ষ হেক্টর চিংড়ি আর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় উপকুল রক্ষা বাঁধ আর অসংখ্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বনাশা “আইলা”র আঘাতে শুধু সাতক্ষীরায় নিহত হয় ৭৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আর আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। প্রলংয়করী আইলা আঘাত আনার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশশুনির প্রতাপনগর এলাকায় মানুষের হাহাকার এতটুকু থামেনি। দু‘মুঠো ভাতের জন্য জীবনের সাথে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। আইলার পর থেকে এসব এলাকায় সুপেয় পানি সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল। আইলা কবলিত এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, উপকুলীয় বেঁড়িবাধ এখনও ঠিকমত সংস্কার হয়নি। তার উপর ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে আবারও লন্ড্ ভন্ড হয়ে গেছে উপকুলীয় জনপদ।
এর উপর ঘূর্ণিঝড় “যশ” এর আগমনী বার্তায় উপকূলীয় এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ ১২ বছর আগেও সবুজ বনানীতে পরিপূর্ণ ছিল সাতক্ষীরা শ্যামনগর ও আশাশুনির উপকুলীয় অঞ্চল। শাক সবজি ধান পাটসহ অন্যান্য ফসলে ভরে উঠত পুরো এলাকা। তবে সেদিন আর নেই। লবনাক্ততায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে মাটি। চারিদিকে গাছপালাহীন ঘের আর ঘের। সবুজের বালাই নেই। নেই পরিবেশগত ভারসাম্য।

স্থানীয়দের দাবী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মানসহ সুপেয় পানি ও এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কারে সরকারী যেন দ্রত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী জানান, প্রলংকারী আইলার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকার মানুষ এখনও মাথা উচু করে দাাঁড়াতে পারেননি। আজও সেখানকার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব রয়েছে। একই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ গুলো রয়েছে ভয়াবহ অবস্থায়। দু একটি জায়গায় সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে ভয়াবহ ফাটল। যে কোন সময় প্রবল জোয়ারের চাপে তা আবারও ভেঙে বিস্তর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তিনি টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মানে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সরকারী উদ্যোগে উপকুলীয় এলাকার সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এছাড়া সাতক্ষীরাকে অতিদূর্যোগপ্রবণ জেলা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারে কাছে দাবী জানিয়েছেন তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!