শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মানবতার সেতুবন্ধন: বাঘার কৃতি সন্তান রথীন্দ্রনাথের উদ্যোগে সম্প্রীতির উৎসব দুর্গাপুর শঠিবাড়িতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে শারদী দুর্গাপূজা জমকালো আয়োজনে “দৈনিক রাজশাহীর আলো”র ১৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন রাজশাহীর মোহনপুরে আ.লীগের গোপন বৈঠক ও কেক কাটার ঘটনায় অধ্যক্ষ বেলাল আটক আমরা সব ধর্মকে নিয়ে মিলেমিশে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়বো: সাবেক এমপি শাহজাহান মিঞা বাঘায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপির নেতা মানিক খান মোহনপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন এমপি প্রার্থী রায়হান রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক রিটনের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন রাজশাহীতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতার নামে চাঁদাবাজি অভিযোগ সোনামসজিদ ও মহদিপুর বন্দরে গড়ে উঠেছে চোরাকারবারী সিন্ডিকেট মোহনপুরে গ্যাজুয়েট স্বপ্নসারথিদের মাঝে সনদ বিতরণ সীমান্তবর্তী পূজা মন্ডপে কড়া নজরদারিতে ১৫ বিজেবি,১৪৫টি পূজা মণ্ডপে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত ধূরইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুলে জানালেন ওয়ার্ড সদস্যগন বাঘা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু খুলনা কবি-সাহিত্যিক ফোরাম আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের পঙক্তিমালা ও জুলাই পদক-২০২৫ অনুষ্ঠিত বাঘায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে ছাত্রদল নেতা শামিম সরকার সাক্ষী পৃথিবী
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

মাগুরার কথা ডেক্স / ৫৮৫ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১, ২:২৩ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট; ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ডাক দেন। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঐতিহাসিক দিনটি অন্যরকম মাহাত্ম্য নিয়ে হাজির হয়েছে। মুজিব জন্মশতবর্ষের কর্মসূচি পালনের মধ্যে এবার ঐতিহাসিক এ দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে। আগামী ২৬শে মার্চ থেকে শুরু হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি।

এমন সময়ে ৭ই মার্চ নানা আয়োজনে অন্যরকম মহিমা ছড়িয়ে যাবে।
১৯৭১ সালের এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্‌। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার-সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে। ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্‌ পত্‌ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। তখন পুরো ময়দান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান। বঙ্গবন্ধু বলেন, ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ্‌। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তরফে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর