কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
শনিবার রাতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় আদর্শ ও সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক এবং যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন মুন্নাকে স্বপদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কেশবপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান মুকুল বলেন, কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক ও জাকির হোসেন মুন্না ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। এ জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কারের জন্য জেলা ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ পাঠায়। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন কবির পিয়াস বলেন, দলীয় আদর্শ ও সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই নেতাকে স্বপদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কেশবপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করে সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করতে নতুন কমিটিতে পদ-প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বলা হয়েছে জমা দেওয়ার জন্য।দিকে, কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ৫ জানুয়ারি কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।