কেশবপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণার সরঞ্জাম ছাপাতে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাপাখানাগুলোতে। নির্বাচনের পোস্টার, ব্যানার ছাপাতে গিয়ে দম ফেলার ফুসরত নেই ছাপাখানার শ্রমিকদের।
গত সোমবার নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই এ ব্যস্ততা বেড়েছে তাদের। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউপি নির্বাচনে ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ১২২ জন ও মেম্বার পদে ৩৯৩ জন। প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য প্রতীক হাতে পেয়েই ছাপাখানায় নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তৈরিতে ভীড় করায় ব্যস্ততার ধুম পড়েছে। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীরা আগেভাগেই পোস্টার-ব্যানার ছাপালেও স্বতন্ত্র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যরা সোমবার প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তৈরি শুরু করছেন।বছরের অন্যসময় ছাপাখানায় তেমন ব্যস্ততা না থাকলেও নির্বাচনী মৌসুমে ব্যবসায়ীরা যেন ফিরে পেয়েছেন অন্য রকম এক আনন্দ। সময়মত প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। অনেক প্রার্থীরা আবার নির্বাচনী প্রচারণার সরঞ্জাম আগেভাগে হাতে পেতে কেশবপুরের বাইরে ছাপাতে দিয়েছেন। শহরের নিউ সেতু প্রেসের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তৈরিতে অন্য সময়ের তুলনায় ব্যাপক ব্যস্ততা বেড়েছে। ২টি মেশিনে পুরোদমে পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে। তবে কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধিতে দরদাম নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ছাপাখানায় খরচ বাড়ায় লাভ কম হচ্ছে।বর্ণমালা ৭১ প্রিন্টিংয়ের মালিক শফিকুল ইসলাম সুইট বলেন, শহরে মূল ছাপাখানা রয়েছে ৩টি। এর বাইরে আরও ২১ স্থানে এ কাজ করা হয়ে থাকে। নির্বাচনী ব্যানার ও পোস্টারের অর্ডার নিয়ে খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রিন্ট করিয়ে আনা হয়। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী রেহেনা খাতুন বলেন, সোমবার নির্বাচন অফিস থেকে হেলিকপ্টার প্রতীক পেয়ে শহরের ছাপাখানাগুলোতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদামতো পোস্টার সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানায়।উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের মেম্বার প্রার্থী আব্দুর রহিম বলেন, ভ্যানগাড়ি প্রতীক পেয়েই ছাপাখানায় গিয়ে পোস্টার তৈরি করে এনে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছি। কেশবপুর-মণিরামপুর প্রিন্টিং ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শহরের অংকুর প্রিন্টাসের পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ছাপা ব্যবসা জমজমাট হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে কেশবপুরে জড়িতরা দিন-রাত কাজ করে প্রার্থীদের প্রচারসামগ্রী পৌঁছে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার আরেকটি অন্যতম অনুষঙ্গ মাইক। মাইকপাড়া হিসেবে খ্যাত থানার মোড় এলাকায় মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসায়ীরা প্রার্থীদের প্রচারণার কাজে আগাম বুকিং পেয়েছেন বলে জানান।