কেশবপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ অসহায় পরিবার পেলো নতুন ঘর। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের বালিয়াডাঙ্গার মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পরিবারগুলোর হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া এদিন কালভেরী ব্যাপিস্ট চার্চের হলরুমে প্রাক বড়দিন উদযাপন ও উপহার বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কালভেরী ব্যাপিস্ট চার্চের চেয়ারম্যান স্টিফেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অসহায় পরিবারের হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও চারুপীঠ আর্ট স্কুলের পরিচালক উৎপল দে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কালভেরী ব্যাপিস্ট চার্চের ম্যানেজার প্রদীপ সিংহ, উজ্জ্বল দাস, হিসাব রক্ষক জীবন বাড়ৈ, কমিউনিটি সুপারভাইজার মৃদুল সরকার, সোনালী বিশ্বাস প্রমুখ।নতুন ঘর পেয়ে কার্ত্তিক দাস বলেন, ২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে থাকার একমাত্র ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছিল। নতুন ঘর পেয়ে আমার পরিবার নিয়ে এখন নিরাপদে থাকতে পারবো। এই শীতে আর কষ্ট পেতে হবে না। একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করেন, নতুন ঘর পাওয়া মাধব দাস ও বিধান দাস। পরে কালভেরী ব্যাপিস্ট চার্চের পক্ষ থেকে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। এছাড়া প্রাক বড় দিন উপলক্ষে কেক কাটা ও শিশুদের মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।দক্ষিণবঙ্গের কালভেরী ব্যাপিস্ট চার্চের চেয়ারম্যান স্টিফেন বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ অসহায় পরিবারকে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ২ কক্ষ বিশিষ্ট ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ আরও ২ পরিবারের ঘর সংস্কার করে দেওয়া হয়।