কেশবপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর একের পর এক যড়যন্ত্রমূলক মামলার হয়রানির শিকার হয়ে অসিত মলিস্নক নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকারে ওই যুবক যশোর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
তিনি মামলার বিবরনীতে উলেস্নখ করেছেন,২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের নারায়ন মলিস্নকের ছেলে অসিত মলিস্নকের সাথে পার্শ্ববর্তী সুফলাকাটি ইউনিয়নের গোলক গোলদারের মেয়ে হীরা গোলদারের সাথে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে অরিশা মলিস্নক নামের একটি কন্যা সন্ত্মান জন্ম নেয়। অসিত মলিস্নক চাকরির কারণে বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রীর বেপরোয়া চাল চলনসহ অজ্ঞাত এক যুবকের মোবাইলের কথোপকথোনের ভয়েস রেকর্ডারকে কেন্দ্র করে তাদের সংসারে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে হীরা গোলদার তার স্বামীকে বিষাক্ত খাবার খাওয়ায়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। বিষযটি অসিত মলিস্নক তার শ্বশুর গোলক গোলদারকে জানায়। এনিয়ে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে হীরা গোলদার সংসারিক জিনিসপত্র নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় অসিত মলিস্নক জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ২০২১ সালের ৬ জুলাই যশোর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তার স্ত্রী হীরা গোলাদারকে তালাক দেয়।বিবাহ বিচ্ছেদের কপি হাতে পেয়ে ওই বছরের ৩ অক্টোবর বিবাদী হীরা গোলদার ৫/৬টি মটর সাইকেলযোগে অসিত মলিস্নকের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির লোকজনকে মারধর করে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এনিয়ে অসিত মলিস্নক থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ যশোর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হীরা গোলদার ও তার বাবা গোলক গোলদারকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। এরপর থেকে হীরা গোলদার বাদি হয়ে অসিত মলিস্নক,শ্বশুর নারায়ন মলিস্নক ও শাশুড়ি লহ্মী রানিকে আসামী করে যশোর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাসহ একে একে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ৫টি মামলা করে। এরপর থেকে অসিত মলিস্নক তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর ভয়ে জীবন যাপন করছে। তিনি বিষয়টি নিরসনে প্রশাসনের হস্ত্মÿেপ কামনা করেছেন।এব্যাপারে হীরা গোলদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।