বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রয়াত সাংবাদিক রবিউল আনোয়ার টমির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বাঘায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সভাপতি রেজাউল, সম্পাদক শামসুল  মহম্মদপুর থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসআই “নিক্কণ আঢ্য” সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মহম্মদপুরে মানববন্ধন রাজশাহীর দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিন দিনের অবরোধ ঘোষণার পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার লালমনিরহাটে মাদক বিরুদ্ধে অভিযানে ২০৬ টি ইয়াবা ও ০৩ গ্রাম হিরোইনসহ আটক -১ নওগাঁ জেলার ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) কমিটির গঠন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ভবানীগঞ্জে চালু হলো ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল চ্যালেঞ্জ জয় করে রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সফল কর্মীসভা সম্পন্ন রাজশাহীতে মৃত বৃদ্ধার পরিচয় সনাক্ত করলেন পিবিআই ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মোহনপুরে বিদায়ী ইউএনও আয়শা সিদ্দিকাকে সংবর্ধনা বিসিএস ক্যাডার হওয়া এক গর্বিত স্বপ্নের নাম,শাকিল খান রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী  ৪ বছরে অর্জনের গৌরব, ৫ম বর্ষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মাগুরা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা: মো: শামীম কবিরের ২ বছর পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জানানো হয় মাগুরায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

কেশবপুরে দুধের বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি / ৩১১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২, ১১:২৮ অপরাহ্ন

কেশবপুর উপজেলা ও পৌরসভার দুধের বাজারে খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা শহরে ৪ সিন্ডিকেট দুধ ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা সাধারণেরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে কেশবপুর পৌরসভার পুরাতন গরুর হাটে দুধের বাজার সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে দুধের বাজারে হরেক চিত্র।পৌরসভার খুচরা ও পাইকারি দুধের বাজার একটি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা খেতেল ও গ্রাম্য হাট-বাজার থেকে আসা দুধ ব্যবসায়ীর দুধ ওই ৪ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করতে বাধ্য।ওই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতার নিকট হতে অল্প দামে ক্রয় করে খুচরা ক্রেতার নিকট ইচ্ছামত বেশি দামে বিক্রি করে চলেছে। আগে খুচরা বিক্রেতারা বাজারে বসে দুধ বিক্রি করতে পারতো।আর এখন তাদের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর নিকটে বিক্রি করতে হয়।বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিক্রি করতে আসা দুধ বিক্রেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- আমরা কেশবপুর বাজারে দুধ বিক্রি করতে নিয়ে আসলে বাধ্যতামূলক সিন্ডিকেট ৪ জন ব্যবসায়ীর কাছে অল্প দামে বিক্রি করতে হয়। আর তারা ইচ্ছেমত দুধের দাম দিয়ে থাকে।দুধের বাজারে সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীরা হচ্ছে পৌরসভার বায়সা গ্রামের দুলাল চন্দ্র ঘোষ, মধ্যকুল গ্রামের আব্দুস সবুর, হাবাসপোল এলাকার বিধবা সেলিনা বেগম ও মূলগ্রামের ভোদি বিবি।আলাপ হলো কেশবপুর পৌর শহরের দুধ ব্যবসায়ী আব্দুস সবুরের সাথে। তিনি জানান প্রতিদিন বাজারে ১০/১২ মন দুধ বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে। আর এই সকল দুধ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতার নিকট হতে ক্রয় করে আমরা শিশু খাদ্য হিসাবে হোম ডেলিভারী করে থাকি। এছাড়াও যশোর ও মণিরামপুর হতে পাইকারি দুধ ব্যবসায়ীরাও এসে থাকে। তিনি প্রতিদিন সাড়ে ৪ থেকে ৫ মন দুধ বিক্রি করে থাকেন।দুধ ব্যবসায়ী বিধবা সেলিনা বেগম বলেন,গ্রাম থেকে বিক্রি করতে নিয়ে আসা দুধ কিনে শহরের বাসাবাড়িতে গিয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ কেজি দুধ বিক্রি করে থাকি। আর এই করে আমার সংসার চালাতে হয়।গ্রাম থেকে দুধ বিক্রি করতে আসা খুচরা বিক্রেতা ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের আলতাফ হোসেন ও রহিম বক্স দফাদার জানান,আগে নিজেরাই বিক্রি করতে পারতাম আর এখন তারা ওই ৪ জন ব্যবসায়ীর নিকট অল্প মূল্যে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে থাকে।তারা আমাদের কাছ থেকে ৩৫/৪০ টাকা কেজি দরে দুধ কিনে ৭৫/৮০/৯০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করে থাকে।আবার সনাতন ধর্মালম্বীদের একাদশী বা ধর্মীয় বিশেষ দিনে ইচ্ছা মতো বেশি দামে দুধ বিক্রি করে থাকে। মোটকথা দুধের বাজারে বেচাকেনা ওই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে।শহরের এক দুধ ক্রেতা কোহিনূর পারভীন জানালেন, তিনি গ্রাম থেকে বিক্রি করতে নিয়ে আসা এক ব্যক্তির নিকট থেকে ২ কেজি দুধ ৫০ টাকা কেজি দরে ১শ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। অথচ এই দুধ বাজার থেকে কিনতে হলে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতো। শহরের দিলীপ কুমার মদক বলেন,দুধের বাজার ৪ জন ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা ৪০ টাকায় কিনে ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি করে ক্রেতাদের রীতিমত প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে থাকে। পাঁচবাকাবর্শি গ্রামের আব্দুল করিম দফাদার জানান, এখন আর আগের মত যার তার নিকট হতে দুধ কেনা যায়না। দুধ কিনতে আসলেই তাদের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক বেশি দামে কিনতে হয়। তাছাড়াও দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার।বাজারে হাতের কাছে টিউবয়েলও বসানো রয়েছে যে দুধে ইচ্ছামত পানি দিতে পারে। তাদের দুধ কখনও ফুরায় না। এই মুহূর্তে দুধের বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে না পারলে আসন্ন রমজান মাসে ক্রেতা সাধারণরা দারুণ ভাবে প্রতারিত হবে।নিয়মিত দুধ ক্রেতা শহরের মনোরজ্ঞন দে বলেন,বাজারে দুধে পানি মিশানো বাদে কোন খাঁটি দুধ পাওয়া যাবে না। ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতার নিকট হতে দুধ কেনার পর হাতে থাকা জগ ধোঁয়া পানি হরহামেশাই ব্যবসায়ীদের রাখা কলসে ঢেলে দিয়ে থাকে। কি করার আছে দুধ খেতে হলে তাদের নিকট থেকে যা পাই তাই কিনতে হয়।কেশবপুর পৌরসভার সেনেট্যারী ইন্সপেক্টর সুজয় কুমার বিশ্বাস বলেন,কেশবপুর দুধের বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রি করার কোন অবকাশ নেই। তবে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!