মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধী পিচ কমিটির একজন সদস্যেরে নামের সাথে মিল থাকায় কেশবপুরের গৌরিঘোনার শেখ সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বিপাকে পড়েছেন। সোমবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি করেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার গৌরিঘোনা গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গৌরিঘোনা ইউনিয়নের এস এম সিদ্দিকুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পিচ কমিটির ইউনিয়নের সহ সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। যেটা তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী ২০১০ সালের ৫ জুলাই নিজে স্বাক্ষর করে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, উক্ত এস এম সিদ্দিকুর রহমানের নামের সাথে আমার নামের মিল থাকায় তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তার নামের স্থানে আমার নাম বসিয়ে এলাকায় প্রচার করে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করে চলেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিলো ১৪/১৫ বছর। সুতরাং এস এম সিদ্দিকুর রহমান নিজের দোষ আমার উপর চাপিয়ে আমাকে সমাজ ও রাষ্ট্রে হেয় করে চলেছেন। ২০১৬ সালেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন সীল ও স্বাক্ষর করে প্রত্যায়ন দিয়েছিলেন যে, এস এম সিদ্দিকুর রহমান পিচ কমিটির সাথে জড়িত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র হোড়। এ বিষয়ে এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী ২০১৩ সালে এবং পরবর্তীতে অপর একজন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার এস এম আনিসুর রহমান ২০১৬ সালে পৃথকভাবে প্রত্যায়ন দিয়েছেন যে, এস এম সিদ্দিকুর রহমান পিচ কমিটির সদস্য ছিলেন না ।