কেশবপুরে পরকীয়ার টানে নগদ ৪ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে ঘর ছাড়লেন প্রবাসীর স্ত্রী এ ঘটনায় প্রবাসীর মামা মেহেরপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আনিছুর রহমান বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানার লিখিত অভিযোগে আনিছুর রহমান উলেস্নখ করেন, ভাগ্নে জিন্নাত আলীকে তিনি শিশুকাল থেকে লালন-পালন করে বড় করে। প্রায় ১৩ বছর আগে ভাগ্নে জিন্নাত একই উপজেলার কাস্ত্মা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের মেয়ে রোকেয়া খাতুনকে বিয়ে করে শশুর বাড়ীতে ঘর জামাই হয়ে বসবাস করে আসছিল। সাংসারিক জীবনে তাদের ঔরষে তাসপিয়া নামে (৯) এক কন্যা সন্ত্মানও রয়েছে। তার ভাগ্নে প্রায় ৭ বছর পূর্বে স্ত্রী-কন্যা সন্ত্মানদের তার শশুর বাড়ীতে রেখে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। এমতাবস্থায় তিনিসহ পরিবারের লোকজন ভাগ্নে বউমা ও তার মেয়েকে দেখা শুনা ও তাদের খোঁজখবর নিতে গত ৫ এপ্রিল সকালে কাস্ত্মা গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে ভাগ্নে বৌমা গত ৪ এপ্রিল সাগরদাঁড়ি চাপাতলা গ্রামে তার ভগ্নিপতি নূর আলীর বাড়ীতে বেড়াতে গেছে। পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তার ভাগ্নে বৌমার সাথে কাস্ত্মা গ্রামের মৃত মালেক সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমানের সাথে দীঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। সেই পরকীয়ার টানে গত ৬ এপ্রিল তার ভাগ্নে বৌমা তার ব্যবহৃত ৩ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্নালংকার ও বিদেশ হতে ভাগ্নের পাঠানো নগদ ৪ লÿ টাকাসহ দামী জিনিসপাত্র নিয়ে হাফিজুরের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। তাদের খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৭ টা ৪৭ মিনিটে ভাগ্নে বৌমার ভগ্নিপতি নূর আলী তার ভাগ্নে জিন্নাত আলীকে ফোন দিয়ে জানায় যে, তাদের নগদ ৩ লÿ টাকা দিলে তার স্ত্রী-সন্ত্মানদের উদ্ধার করে দিবে। এই ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল মালয়েশিয়া প্রবাসীর মামা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে জিন্নাতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনসহ উলেস্নখিত ৪ জনের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
হাফিজুরের মুঠোফনে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত্ম পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।