বাবা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো একই উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেও তিনি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।রোববার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো’র এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছেলের বাড়ি উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে। উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।আর ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো এলাকায় একজন সাদামাটা, বন্ধুবৎসল, পরোপকারী ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিবেদিত ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত। তিনি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৯ হাজার ৬ শত ৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।এদিকে বাবা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ৪৭ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এবার ছেলে কাজী মুক্তো দ্বিতীয় বারের মত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাদের প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নবাসী খুবই খুশি। তাদের প্রত্যাশা যেহেতু বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলেও ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই এ ইউনিয়নে উন্নয়ন কার্যক্রমও বেশি হবে এবং ইউনিয়নটির সাধারণ মানুষ সরকারি সব ধরনের সেবা পাবে।সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ডা. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের মানুষ খুবই ভাগ্যবান। আমরা একই ইউনিয়নে বাবা-ছেলে দুজন চেয়ারম্যান পেয়েছি। তাই তাদের প্রতি আমাদের চাওয়া এবং প্রত্যাশাও বেশি।সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো বলেন, ইউনিয়নবাসী ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের সেবক এবং একজন সেবক হয়েই সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি তাদের পাশে থাকতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর সব উন্নয়ন কাজ আমার ইউনিয়নে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের কোনো মানুষই সরকারি কোনো সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না বলে আশা করি। আমি আমার ইউনিয়নের সব ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নটিকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যেহেতু বাবা-ছেলে দুজনই চেয়ারম্যান, সেহেতু আমার এলাকার সাধারণ মানুষসহ পুরো উপজেলাবাসীরই প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা সে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করছি এবং করবো।তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি এবং এখনো করছি।