কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের বিরম্নদ্ধে স্থানীয় এমপি শাহিন চাকলাদারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিদ্যালয়ে কতিপয় পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকাবাসি সভাপতি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও এলাকার বিশ্বস্ত্ম সূত্রে জানা গেছে,গত ১৩ অক্টোবর-২১ কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসাবে প্রধান (অবঃ) শিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের নাম দিয়ে শিক্ষা বোর্ড যশোর পত্র জারী করেছিলেন। এর আগে ৯ অক্টোবর-২১ তারিখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাজাহান আলীকে কোনো নোটিশ না দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত্ম করেন। এরপর উক্ত আহবায়ক কমিটি গঠনের বৈধতা নিয়ে উচ্চতর আদালতে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মামলাও চলছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি ভাবে কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই নিয়মিত কমিটি গঠন ও অনুমোদনের বিরম্নদ্ধে ১১ ডিসেম্বর-২১ তারিখে জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বরখাস্ত্মকৃত প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী। এরপরেও শিক্ষা বোর্ড অভিযোগ ও মামলাকে উপেক্ষা করে গত ৬ জানুয়ারী-২২ তারিখে বেআইনি কমিটি অনুমোদন করেন। এরপর শুরম্ন হয়ে যায় সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্যের কায্যক্রম। কথিত নিয়মিত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী,আয়া ও পিয়ন পদে কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করে ৬ টি পদে নিয়োগের কথা বলে মাননীয় এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থবাণিজ্যে মেতে উঠেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন মহলের অনেকে বলেন অফিস সহকারী পদে বুড়িহাটি গ্রামের জাবেদ আলীর পুত্র মোস্ত্মফা,মৃত নাজিমউদ্দীনের পুত্র ফিরোজ ও সদর উদ্দিনের পুত্র মাহফুজ ও পিয়ন পদে আকবর আলী মোড়লের পুত্র আব্দুল কালাম, আব্দুল গফফার মোড়লের পুত্র আজাহারম্নল ইসলাম এবং আয়া পদে রফিকুল ইসলামের পুত্র এনামুলের স্ত্রী, মৃত আনার আলীর পুত্র মিলনের স্ত্রী। তাদের কে বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে অগ্রীম টাকা গ্রহন করেন। এর মধ্যে আগেও একবার কারো কারোর নিকট হতে নিয়োগের কথা বলে মোসলেম উদ্দিন ও তার পুত্র মোঃ শহিদুজ্জামান শহিন টাকা নিয়ে ছিলেন কিন্তু তাদেরকে নিয়োগ দিতে পারেননি। আবারও তাদেরকে নিয়োগ দিবে বলে ৫/৭ লাখ, ১০/১২ লাখ এমনকি ১৫ লাখ টাকার কথা বলে অগ্রিম টাকা গ্রহন করছেন। প্রতিটা পদে এমপির নামে ৫ লাখ ও ১০ লাখ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আরো জানা গেছে যাদের কে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে তারা সকলেই সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের নিকট আত্নীয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকা বাসি অবৈধ বেআইনি কমিটি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে মাষ্টার মোসলেম উদ্দিনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার তাঁর ব্যাবহারিত মুঠো ফোনে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।