যশোরের কেশবপুরে জমি নিয়ে বিবাদে প্রতিপক্ষরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্ত্মা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে বন্ধ করে দেয়ায় দীর্ঘ ১ বছর ধরে ২৫ পরিবার অবরম্নদ্ধ জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষযটি নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশিস্নষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিলেও তিনি অজ্ঞাত কারণে সময় ÿেপণ করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের দাসপাড়ার দিবাশিষ দাসসহ ২৫/৩০ পরিবার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মৃত নরেন দাসের বাড়ির পাশ দিয়ে মঙ্গলকোট শিকারপুর সড়কে উঠে কেশবপুর শহরসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করতো। জনগণের চলাচলের স্বার্থে সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচীর শ্রমিক দিয়ে দু’বার রাস্ত্মাটি সংস্কার করা হয়। এরআগে উভয়পÿ ১ হাত করে জমি রাস্ত্মার জন্যে ছেড়ে দেবে বলে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে জমি নিয়ে বিবাদে প্রতিপÿ নরেন দাসের ছেলে পরিতোষ দাসগং চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে রাস্ত্মার প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। এতে দিনেষ দাস, দিবাশিষ দাস, কৃষ্ণ দাস, দয়াল দাসসহ ওই পাড়ার ৩০ পরিবার অবরম্নদ্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে দিবাশিষ দাস বাদি হয়ে ওই বছরের ১ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি বিষয়টি নিরসনে সংশিস্নষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু ওই চেয়ারম্যান ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দোহায় দিয়ে আজ কাল করে সময় ÿেপণ করতে থাকেন। সেই থেকে দীর্ঘ ১ বছর ধরে ২৫ পরিবার অবরম্নদ্ধ জীবন যাপন করছে। এঘটনায় উভয় পÿই একে অপরের বিরম্নদ্ধে আদালতে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিপÿ পরিতোষ দাস বলেন, অসিম দাসের বাড়ির পাশের রাস্ত্মা দিয়ে তাদের প্রতিবেশী ১০/১৫ পরিবার চলাচল করতো। দিবাশিষরা সেই রাস্ত্মা বন্ধ করে দেয়ায় তাদের ১০/১৫ পরিবার অবরম্নদ্ধ হয়ে পড়েছে। রাস্ত্মা হলে দুটোই হবে। অন্যথায় নয়। এ ব্যপারে মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পলাশ সময় ÿেপণের কথা অস্বীকার করে বলেন, উভয়পÿকে নোটিশ করে তাঁর পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিসি বৈঠক করা হয়েছিল। কেউ সালিস না মানলেও তিনি এ সংক্রান্ত্ম কোন প্রতিবেদন দাখিল করেননি বলে জানান।