কেশবপুর সদর ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফলাফল আটকা রয়েছে। এ কারণে অপেক্ষায় রয়েছে ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ১৩ প্রার্থী।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা মেম্বর পদে ৪ জন ও মেম্বর পদে রয়েছেন ৪ জন প্রার্থী। স্থগিত থাকা ওই কেন্দ্রের নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। গত ৫ জানুয়ারি কেশবপুরে পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি কেন্দ্রে ঢুকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে ভোট কাটাকাটি শুরু করে। খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসে এ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। এর ফলে এ ইউনিয়নের বাকি ৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হলেও এ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর এবং মেম্বর পদপ্রার্থীরা ভোটগ্রহণের তারিখের অপেক্ষায় আছেন। এছাড়া ওই কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট নিয়েও রয়েছে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা।এদিকে, কেশবপুর সদরের ৮টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৌতম রায় ৫ হাজার ৩৮৭ ভোট, বিএনপি নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান মোটর সাইকেল প্রতীকের আলাউদ্দীন আলা ৪ হাজার ৯২৯ ভোট, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম ১ হাজার ২০৭ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের ২২৩ ভোট ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ১২৩ ভোট। স্থগিত থাকা নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১১৯। বেসরকারি ফলাফল থেকে থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ভোট কাটাকাটির কারণে স্থগিত হওয়া ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।