যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের ইস্তা গ্রামে বিশ্বাস ব্রিকসে্র নাম পরিবর্তন করে রাজা ব্রিকস্ করে দখলের ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই (নিঃ) তারেক নাহিয়ান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারি করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের ইস্তা গ্রামে বিশ্বাস ব্রিকস্ নামে পরিবর্তন করে রাজা ব্রিকস্ নামে দখলের ঘটনায় সেখানে গত বছরে পোড়ানো কয়েক লাখ ইটের গায়ে বিশ্বাস ব্রিকস্ লেখা রয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে ইটের মৌসুম শুরু করার পূর্বে ফিরোজ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক পার্টনার আল মামুন রাজা প্রতারনার মাধ্যমে বিশ্বাস ব্রিকসে্র নাম পরিবর্তন করে রাজা ব্রিকস্ নামে ইট কাটা শুরু করেছেন।
অতঃপর ইটভাটার চিমনি, সাইনবোর্ডেও রাজা ব্রিকস্ ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্বাস ব্রিকসে্র প্রোপাইটর ফিরোজ বিশ্বাস স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
কিন্তু আল মামুন রাজা কারোর কথা কর্ণপাত না করায় ফিরোজ বিশ্বাস বাদি হয়ে যশোরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং-১২১৭/২১, স্মারক নং- ২৩৯০, তাং- ০১/১২/২০২১ ইং।
মামলায় স্থানীয় আইনশৃংখলা বজায় রাখা সহ ইট ভাটাটি যেখানে যে অবস্থায় আছে তার সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখতে থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
যার কপি পেয়ে মঙ্গলবার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই (নিঃ) তারেক নাহিয়ান ইট ভাটায় গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উভয় পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান। এসময় বিশ্বাস ব্রিকসে্র প্রোপাইটর পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের পুত্র ফিরোজ বিশ্বাস জাানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তিনি ও ইস্তা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আল মামুন রাজা যৌথ মালিকানায় ইস্তা গ্রামে বিশ্বাস ব্রিকসে্র কার্যক্রম শুরু করেন। যা গত ৪ বছর ধরে চলে আসছে। কিন্তু আল মামুন রাজা স্থানীয় হওয়ায় গত বছর থেকে ফিরোজ বিশ্বাসকে উচ্ছেদ করে একাই ইট ভাটা চালানোর পায়তারা করে আসছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ইট ভাটার চিমনি, সাইনবোর্ডে বিশ্বাস ব্রিকসে্র পরিবর্তনসহ কাঁচা ইটে রাজা ব্রিকস্ নাম ব্যবহার করছে। উল্লেখিত ইট ভাটায় ফিরোজ বিশ্বাসের প্রায় ৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় ইটভাটায় আল মামুন রাজাকে দেখা না গেলেও তার ছোটভাই মাসুদুর রহমান নয়ন বলেন, যৌথ মালিকানা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সামান্য বিরোধ হয়েছে। যা অচিরেই মিটে যাবে। ইতিমধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বাক বিতান্ডের ঘটনা ঘটেছে, দ্রুত মিমাংসা না হলে ইট ভাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসিরা দাবী করেছেন এবং বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।