স্টাফ রিপোর্টারঃ আইনি সেবা প্রত্যাশীদের ভরসা স্থান থানা কিন্তু থানা মানেই ভুক্তভোগীদের হয়রানি ও টাকা আদায়ের কারখানা। টাকা ছাড়া থানায় কোন কাজ হয়না জনসাধারণের এমন ধারণা পাল্টে দিয়েছেন কক্সবাজার মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন।
জানা গেছে, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন সহজেই টাকা ছাড়াই নির্বিঘ্নে সাধারণ ডাইরি,জিডি,অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তরর্ভুক্ত করতে পারছেন।মহেশখালী থানা আইনী সেবা কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। আইনী সেবা জনসাধারণের মনের আঙ্গিনায় পৌঁছে দিতে আন্তরিকতায় অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছেন। কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য দিন- রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ন্যায়ের পক্ষে বন্ধু সুলভ আচরণে আব্দুল হাই নিউটন ইতিমধ্যে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আরো জানা গেছে, দালাল ধরে এখন আর কাউকে থানায় আসতে হয়না, টাকা দিতে হয়না আইনী সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে। সেবা প্রত্যাশীদের ন্যায়ের পক্ষে সহযোগিতা করার জন্য থানার সকল অফিসার – ষ্টাফদের নির্দেশ দিয়েছেন ওসি আব্দুল হাই নিউটন।তাছাড়া ওসি নিজেই থানায় আসা ভুক্তভুগিদের পুলিশী আইনী সেবা এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।কোন দালাল বা পুলিশ সদস্যদেরকে কোন রকম টাকা পয়সা না দিতে
বারংবার ভুক্তভোগীদের সতর্ক করে যাচ্ছেন
তিনি। আব্দুল হাই নিউটনের জন্ম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় তাতিবন্দ গ্রামের মোঃ হাসান আলীর ছেলে। ১৯৯৯ সালে ৭ ডিসেম্বর ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে পুলিশে সাব- ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। পুর্বের কর্ম স্থান নওগাঁ জেলায় তিনি ছিলেন পরিক্ষিত জনবান্ধব ওসি।সততা নিষ্ঠা ও দক্ষতায় চতু্র্থ বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন।পুলিশের গুলিতে মেজর (অব) সিনহা রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজানো হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে ওসি আব্দুল হাই নিউটনকে নওগাঁ সাপাহার থানা থেকে কক্সবাজার জেলায় পোষ্টিং করা হায়। ২৬ সেপ্টেম্বর মহেশখালী থানায় যোগদান করেন তিনি। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই নিউটন বলেন,বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হিসাবে আমি যেটা প্রত্যাশা করি সেটা হল পুলিশের সাথে জনগণের দুরত্ব কমানো।সাধারণ জনগন সরকারী অফিস গুলোতে যেতে এখন ভয় পায়। উকিঝুকি দেয় প্রবেশ করবে কি করবেনা। জুতা খুলে নাকি জুতা পরে, এটা কাম্য নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন হয়। সকলের উচিত জনগণের বিনিময় ব্যাতিত সেবা প্রদান করা। মহেশখালী থানা এলাকায় সাধারণ মানুষ যেন শুধু পুলিশ বিভাগেই নয় সব সংস্থাতেই বিনিময় ব্যাতিত তাদের কাজ হয় সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদক, বাল্য বিবাহ, দূর্নীতিতে জিরো টলারেন্স গ্রহন করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছা বাস্তবায়নে সম্মানিত কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, পিপিএম, স্যারের দিক নির্দেশনায়।আমার ছোট আবস্থান থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে সব দিক থেকে জনগণ যেন পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে আশ্রয়ের জায়গা মনে করতে পারে।মহেশখালী বাসির উদ্দেশ্যে (ওসি) আরো বলেন আইনি সেবা জনগনের নাগরিক অধিকার। বাংলাদেশ পুলিশ সার্বিক সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। দালাল চক্রের ফাঁদে পরবেন না আইনি সেবা সকলের নাগরিক অধিকার।কেউ কোন দালাল চক্রের দারা প্রতারিত হলে বা কোন পুলিশ সদস্য কাজের বিনিময়ে অর্থদাবি করলে সরাসরি আমাকে অবহিত করুন। ব্যক্তি পর্য়ায়ে সুদে অর্থ লেনদেন না করার ও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।