শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী-দক্ষিণ কুলতলী এলাকার সাধারন জনগন সীমান্তের কালিন্দী নদীর পাউবোর বেঁড়ীবাধে অবৈধভাবে স্থাপন করা পাইপ অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দুরমুজখালী-দক্ষিণ কুলতলী এলাকার সাধারন মানুষের আয়োজনে সীমান্তের কালিন্দী নদীর পাউবোর বেড়ীবাধে যত্রতত্র ছিদ্র করে অবৈধ পাইপ দিয়ে মৎস্য ঘেরে লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের জন্য মানববন্ধনে এলাকার শতশত নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার বেসুমার ঘুষ বানিজ্যের কারনে অবৈধ ঘোষনার পরও বহাল তবিয়তে বেঁড়ীবাধে যত্রতত্র ছিদ্র করে অবৈধ পাইপ দিয়ে মৎস্য ঘেরে লোনা পানি উত্তোলন চলমান আছে। যার ফলে কয়েক দিন আগের প্রলয়ঙ্ককারী ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারে কালিন্দী নদীর পানি বৃদ্ধিতে পাইপ স্থাপনের স্থান ভাঙ্গণ কবলিত হয়। এতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিস্তীর্ন এলাকা।
এলাকাবাসি জানায় মৎস্য ঘের পরিচালনার জন্য বৈধ ভাবে সুইসগেট থেকে পানি না নিয়ে বেড়ীবাধ সংলগ্নের কয়েকজন অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজসে বেঁড়ীবাধে যত্রতত্র ছিদ্র করে অবৈধ পাইপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করে। এলাকাবাসির পক্ষে সমাজ সেবক মোঃ হাফিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান গত এক বছর আগে আবেদনের প্রেক্ষিতে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক তদন্ত পূর্বক অত্র এলাকার বেড়ীবাধে ছিদ্র করা সকল পানি তোলা পাইপ অবৈধ ঘোষনা সহ পাইপ অপসারন করার কথা থাকলেও কোন প্রকার কার্যক্রম করা হয়নি। তিনি আরও জানান অবৈধ পাইপ স্থাপন কারীদের মধ্যে কুলতলী গ্রামের হাতেম পাড় এর ছেলে মাজেদ পাড় কতৃক মৎস্য ঘেরে পানি তোলার জন্য অবৈধ ভাবে বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করায় ইয়াসের প্রভাবে নদীতে পানি বেড়ে উক্ত স্থানটি ভাঙ্গন কবলিত হয়েছিল। ঐ এলাকায় আরও অনেক গুলো এমন অবৈধ বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে ঘেরে পানি তোলার পাইপ বসানো আছে। যেগুলো কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার উদাসিনতার কারনে আজও চলমান।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য কালে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন অত্র এলাকায় অল্প সংখ্যক মিষ্টি পানির পুকুর আছে সেগুলো ইতিমধ্যে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে জলোচ্ছাসে লবনাক্ত পানিতে ভরে আছে যার ফলে লবনাক্ত পানি সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। মানববন্ধনের মাধ্যমে এলাকাবাসির পক্ষে তিনিসহ হাজারও গ্রামবাসির প্রাণের দাবী একটাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ঘেরে পানি তোলার পাইপ অপসারণ সহ অতিসত্তর টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মান করতে হবে।