
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৫নং বাউসা ইউনিয়নের গত বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক এবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারনার পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন ফোরাম উত্তলন ও জমা দিয়েছে।
সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আগামী ইউপি নির্বাচনে শফিক চেয়ারম্যানের কোন বিকল্প নেই। তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই প্রচার-প্রচারণা সহ উন্নয়ন ও জনগণের আস্থার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। যতদিন বেঁচে আছেন জনগণের পাশে থেকে পিতা মরহুম হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান এর মতো নিজেকে উৎসর্গ করতে চান চেয়ারম্যান শফিক ।
শফিক চেয়ারম্যান গত ৫ বছর থেকে সততা, ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জীবনে শুধু জনগণের সেবা দেওয়াই তার একমাত্র অঙ্গীকার। গত ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দীর্ঘ ৫ বছরে তিনি সুনামের সাথে জনগনের সুখে-দুঃখে পাশে আছেন এবং আগামী তেও থাকতে চান তিনি।
খেটে খাওয়া মানুষ কৃষক, শ্রমিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে তিনি একজন ভালো মানুষ বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে শফিক চেয়ারম্যান দলীয় মনোনয়ন পেয়ে (নৌকা প্রতিক) নিয়ে নির্বাচিত হলে, সরকারী ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নে অসহায় ব্যক্তিদের পাশে থেকে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সহ নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবেন তিনি ।
স্থানীয়রা জানান, তিনি এলাকার অনেক স্কুল, কলেজ সহ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। পুরো নির্বাচনী এলাকা জুড়ে শফিক চেয়ারম্যানের ব্যাপক সুনাম রয়েছে । পারিবারিক সুত্র ধরেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পিতা মরহুম হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান ছিলেন বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৫ এর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিক হওয়ার অপরাধে বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও মরহুম হাফিজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা হারা হননি। শফিক চেয়ারম্যান ছাত্রজীবন থেকেই এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন, পরবর্তীতে যুবলীগ বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি কোন মানুষকে অন্যায় ভাবে কষ্ট দেননি এবং হয়রানিও করেনি। তার প্রচেষ্টায় ও চারঘাট বাঘার মাননীয় সংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপির সহায়তায় এলাকায় অসংখ্য রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ড্রেন নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং ইউপি ডেকোরেশন সহ সবকিছুর উন্নয়ন হয়েছে। বাউসা ইউনিয়ন বাসীর ২৫ বছরের চাওয়া ভূমি অফিস ও ব্যাংক । যেটি শফিক চেয়ারম্যান এর প্রচেষ্টায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এমপির সহায়তায় পেয়েছে ইউনিয়নবাসী।
তিনি আশাবাদী , আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনি গত নির্বাচনেও ব্যাপক সমর্থন সহ বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ভিক্ষুক মুক্তকরাসহ শতভাগ বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এমপি মহদোয়ের সহযোগীতায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন,ভূমিহীনদের সরকারি বাড়িঘর প্রদান, প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে সৌর বিদ্যুতের ষ্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং যাত্রী ছাউনী স্থাপন, বসার শেড নির্মাণ, বেশ কয়েক কিঃ মিঃ মাটির রাস্তা সোলিং করা, শতশত দরিদ্র পরিবার এবং হাটবাজারে টিউবয়েল প্রদান, গরীব অসহায় পরিবারে ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে স্যানীটারী ল্যাট্রিন প্রদান সহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে এলাকার মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আবারো জনগনের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হবেন এটাই তার প্রত্যাশা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৫ বছরে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে,আরো হবে।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ভীষন-২০৪১ বাস্তবায়নে শফিক চেয়ারম্যান কাজ করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী -৬ আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এমপির সার্বিক সহযোগীতা,দিক নির্দেশনা এবং পরামর্শেক্রমে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামীতেও তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান স্থানীয়রা। তাদের দাবি যে, আড়ানী ইউনিয়নে তাকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বিজয় নিশ্চিত। এছাড়া অন্য কাউকে দেয়া হলে পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সকলের দাবি একটাই যে, অত্র ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ গুলো অতিদ্রুত সমাপ্ত করে নেয়ার জন্য তাঁকেই চেয়ারম্যান করা দরকার।