রাজশাহীর বাঘা সরকারী গুদামের চাল চারঘাট উপজেলার কাঁকড়ামারী বাজারে দুই চাল ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ২০ মেট্রিক টন (৬৬৭ বস্তা) জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাঘা থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে।
অভিযানে কাঁকড়ামারী বাজারের মেম্বার চাউল আড়ত থেকে ৩৬০ বস্তা এবং প্বার্শবর্তী বিলাল খাদ্য ভান্ডার থেকে ৩০৭ বস্তা চাল ও একটি ট্রাক (রেজিঃ ঢাকা মেট্রো ট- ১৪৭৫৭৯) জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেম্বার চাউল আড়তের মালিক মোস্তাকিন মেম্বার ও বিল্লাল খাদ্য ভান্ডারের মালিক শমশের আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
বাঘা থানা পুলিশ জানায়, বাঘা খাদ্য গুদাম থেকে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া সরকারী চাল ট্রাক যোগে প্বার্শবর্তী চারঘাট উপজেলার ব্যবসায়ীর দোকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ চারঘাটের কাঁকরামারী বাজারের দুইটা চালের আড়তে অভিযান চালায়। চাল সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় প্যাকেটজাত করার সময় দুই চালের আড়ত থেকে ২০ টন ( ৬৬৭ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী বাঘা খাদ্য গোডাউনের অসাধু চক্রের কাছে থেকে এসব সরকারি চাল কিনে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ গুদামে মজুত করছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
অভিযুক্ত মোস্তাকিন আলী ও শমসের আলী বলেন, তাঁরা দুইজন বাঘা খাদ্য গোডাউনের কর্মচারী আব্দুল হালিমের মাধ্যমে ২০ টন (৬৬৭ বস্তা) চাল কিনেছেন। ট্রাক যোগ সেই চাল আড়তে এনে সকাল থেকে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য বস্তায় প্যাকেটজাত করছিলেন।
তবে বাঘা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন, চারঘাটে সরকারী চাল আটক হয়েছে শুনেছি। তবে ওই চাল আমাদের গোডাউনের না।
এ দিকে চাল জব্দের বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন, চালগুলো গোডাউনের সরকারী চাল। কালোবাজার থেকে ওই ব্যবসায়ীরা এসব চাল কেনেন। চালের বস্তায় সরকারি সিলও আছে। কিছু বস্তা পরিবর্তনও করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আড়তদার কে আটক করা করলাম ঘটনার স্থল হতে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজু বলেন,বাঘা উপজেলার সরকারি গোডাউনের চাউল চারঘাট উপজেলার কাঁকরামারি বাজারের দুজন ব্যবসায়ীর চাউলের আড়ৎ হতে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাঘা থানায় এবিষয়ে মামলা করা দায়ের করা হবে।