
সের ভাড়া বাড়লেও ‘আয় না বাড়ায়’ একে মধ্যবিত্তের ভোগান্তি বলে আখ্যা করেছেন রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। তারা বলছেন, খরচ বাড়ায় দৈনন্দিন জীবনেও এর প্রভাব পড়বে।রাজশাহী নগরের ছোটবনগ্রাম এলাকার কথা হয় ঢাকাগ্রামী মিনারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, “বাসের বাড়তি ভাড়া কারণে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর চাপ পড়বে। কারণ প্রতিদিন আমাকে অফিসে যাওয়া আসা করতে হয় বাসে। বাসের ভাড়া বাড়লেও আয় তো বাড়েনি।”“তাছাড়া পরিবহন ভাড়া বাড়ার কারণে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম। এতে আমাদের জন্য জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়বে।”চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি ঢাকা থেকে এসে আটকা পড়েছিলাম। আমি যে টিকিট বুকিং দিয়েছিলাম তার দাম ছিল এক হাজার। এখন নিল এক হাজার ২০০ টাকা। আমাকে বাড়তি ২০০ টাকা দিতে হল। এর প্রভাব আমাদের পরিবারে পড়বে।”ঢাকাগামী যাত্রী রাজশাহী নগরের ছোটবনগ্রাম এলাকার মিনারুল ইসলাম বলেন, বাসের বাড়তি ভাড়া আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর চাপ পড়বে। কারণ প্রতিদিন আমাকে অফিসে যাওয়া আসা করতে হয় বাসে। এছাড়াও পরিবহন ভাড়া বাড়ার কারণে বাড়বে নিত্যপণ্যের দাম। এতে আমাদের জন্য জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়বে।রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকার আফজাল হোসেন জানান, ন্যাশনাল ট্রাভেলসের এসি গাড়ির তার আগেই টিকিট করা ছিল এক হাজার টাকায়। যাত্রার আগে তার কাছ থেকে আরও দুইশো টাকা নেওয়া হয়েছে।রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী নন এসি পূর্বের ভাড়া ছিলো ৪৮০ টাকা; যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা।তিনি বলেন, “বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হয়েছে। কোনো জায়গায় কত টাকা ভাড়া হবে চার্ট টাঙিয়ে সেই অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হবে। বিআরটিএ’র ঘোষণার পর সন্ধ্যা থেকেই রাজশাহীতে বাস চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়।”
ঢাকাগামী দূর পাল্লার বাসের ক্ষেত্রে যমুনা সেতুর টোল যুক্ত হওয়ায় ভাড়া আরও কিছুটা বাড়বে বলে মনে এ পরিবহন নেতা।