রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খালেদা বিবির ২০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বাগমারা উপজেলার গনিপুর গ্রামের আনেছুর রহমানের সাথে।
দিনমজুর আনেছুর ও খালেদা দম্পতির ঘরে দীর্ঘ সময় সন্তান না আসায় কিছু কিছু টাকা জমিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তারা। দীর্ঘ দিন পর এর ফল পান। বিয়ের ২০ বছর পর অন্তঃসত্ত্বা হন খালেদা।
এই খবরে আনেছুর ও খালেদা খুশি হলেও বেশি দিন তা থাকেনি। গত মার্চে ক্যানসার ধরা পড়ে আনেছুরের। অর্থাভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি।
২০ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে গত ২৭ মে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন খালেদা। অসুস্থ বাবা ছেলের নাম রাখেন সাদমান সাদিক আয়াস। অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে কোলে নিয়ে আদরও করেন।
বসতবাড়ি বাদে একখণ্ড জমি ছিল আনেছুরের। সেই জমি বিক্রি করে ক্যানসারের চিকিৎসা করালেও তাকে বাঁচানো যায়নি। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ১৪ দিন পর গত বুধবার তিনি মারা যান।
সন্তান ও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্বামীহারা খালেদা। জানান, সংসারের যে পুঁজি আর জমি ছিল, তা স্বামীর চিকিৎসায় শেষ করেছেন। এখন ভাত রান্না করার মতো অবস্থা নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর বাপের বাড়ি থেকে কিছু বাজার করে দিয়েছিল, তা রান্না করে চলছে।
খালেদা বলেন, ‘২০ বছর পর বাচ্চা পাইলেও আনন্দ নাই। বাচ্চাকে কীভাবে মানুষ করবো, আর নিজে বাঁচবো ক্যামনে, এ লিইয়্যা টেনশনে আছি।’