টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুরে ছাত্রলীগের একটি প্রতিবাদ মিছিল জননেতা আব্দুল মান্নান হল থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করেন, বুধবার(১৭ নভেম্বর) গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। এতে ৭ জন শিক্ষার্থী ও একজন ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মীকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে যোগাযোগ করার পরও প্রায় ৪০ মিনিট পরে অ্যাম্বুলেন্স আসে। ফলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
তারা আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার নিজ কক্ষে বসে থাকলেও তিনি ছাত্রদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। কোন শিক্ষার্থীর খোঁজখবর রাখেননি। তিনি প্রক্টর হিসেবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল, ছাত্রলীগ নেতা মানিল শীল ও নাজিম রুপক বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সাহেবের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ মাজারস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। সে সময় ভিপি নূররা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে কুরুচিপূর্ণ ও দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে। ফলে নুরু বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়ে আমাদের কয়েকজন আহত হন। অথচ প্রক্টর কোন উদ্যোগই নেননি। তাই আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছি। তা না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৭২ ঘণ্টা পরে কঠোর আন্দোলনে নামবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মীর মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগের এ ধরণের প্রতিবাদ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না’।