এক দশক পর অস্ট্রেলিয়ায় আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। স্থানীয় সময় শনিবারের (২১ মে) ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন লেবার নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ। নির্বাচনে হেরে বিদায় নিচ্ছেন লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় দেশটিতে। নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দেন অস্ট্রেলিয়ার এক কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ। করোনার মহামারিতে ২০১৯ সালের পর এবার ভোট অনুষ্ঠিত হলো।
জয়ের খবরে অ্যান্থনি আলবানিজ উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের বলেন যে অস্ট্রেলিয়ানরা ‘পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন’। তবে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও বেশি কাজ করা, সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ বাড়ানো, ক্ষমতায় ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৫৯ বছরের আলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য স্কট মরিসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলবানিজ বলেছেন যে তিনি ‘খুব সদয়ভাবে আমার মঙ্গল কামনা করেছেন’।
এদিকে, ভোটের ফলাফলের আভাস পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষ আলবানিজকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি নিজ দলের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে বিভিন্ন জনমত জরিপে উঠে আসে যে, এবার সামান্য ব্যবধানে জয়ী হতে পারে লেবার দল।
অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। জয়ের জন্য ১৫১ আসনবিশিষ্ট প্রতিনিধি পরিষদে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো দলকে। এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করা হয়। যদি সেটি করতে ব্যর্থ হয় তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন প্রয়োজন হয় কিংবা ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে। সূত্র: বিবিসি