মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক এমপিওভুক্ত বিদ্যালয় থাকলেও নেই শিক্ষার্থী। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়মিত জাতীয় পতাকা উড়ালেও ক্লাসে পাওয়া যায়না পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী । অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দিচ্ছেন শিক্ষকরা। অবিশ্বাস্য হলেও এভাবেই চলছে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে একাধীকবার গিয়ে দুই তিন জন শিক্ষকের দেখা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি ছাত্র-ছাত্রী । মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি এমপিওভুক্তি হয় ১৯৮৭ সালে।
বেশ কয়েক বছর সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করলেও সাবেক সুপার এবং শিক্ষকদের অনিয়মও গ্রামীন দলীয় রেশারেশির কারণে শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে মাদ্রাসাটি।
স্থানীয়রা জানান, এমপিও হওয়ার পরে সুনামের সাথে মাদ্রাসাটিতে পড়ালেখা হতো তবে গত ১০ বছর ধরে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার মান নেই, ছাত্র ছাত্রী আসেনা স্যাররা কয়েকজন আসে দুপুরের আগেই চলে যায়।
গত ১২মে এবং ১৬মে সকাল ১০.৩০ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে ঐ মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থীও শিক্ষক পাওয়া যায়নি। তবে ১৯ মে মাদ্রাসার মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সহ শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ তৌয়ব বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে কাম্য শিক্ষার্থী আছে এবং শিক্ষার মান ভালো আছে, এছাড়া শিক্ষার্থীর উপস্থীতির বিষয় জানতে চাইলে এড়িয়ে যান।
মাগুরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন অত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিতে ভিজিট করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। মাদ্রাসাটিতে প্রতি শ্রেনীতে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থীতি ছিলো ৩/৪ জন এছাড়া লুঙ্গী পরিহিত শিক্ষার্থীও পাওয়া গিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মৌশা মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম শিক্ষার্থী উপস্থিতি একদম সীমিত। তিনি আরো বলেন উর্ধতন কর্মকর্তা সাথে আলোচনা করে যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।