বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রয়াত সাংবাদিক রবিউল আনোয়ার টমির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বাঘায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সভাপতি রেজাউল, সম্পাদক শামসুল  মহম্মদপুর থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসআই “নিক্কণ আঢ্য” সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মহম্মদপুরে মানববন্ধন রাজশাহীর দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিন দিনের অবরোধ ঘোষণার পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার লালমনিরহাটে মাদক বিরুদ্ধে অভিযানে ২০৬ টি ইয়াবা ও ০৩ গ্রাম হিরোইনসহ আটক -১ নওগাঁ জেলার ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) কমিটির গঠন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ভবানীগঞ্জে চালু হলো ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল চ্যালেঞ্জ জয় করে রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সফল কর্মীসভা সম্পন্ন রাজশাহীতে মৃত বৃদ্ধার পরিচয় সনাক্ত করলেন পিবিআই ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মোহনপুরে বিদায়ী ইউএনও আয়শা সিদ্দিকাকে সংবর্ধনা বিসিএস ক্যাডার হওয়া এক গর্বিত স্বপ্নের নাম,শাকিল খান রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী  ৪ বছরে অর্জনের গৌরব, ৫ম বর্ষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মাগুরা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা: মো: শামীম কবিরের ২ বছর পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জানানো হয় মাগুরায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

মাগুরায় জমে উঠেছে ফুটপাতের শীতের পিঠা!

মাগুরার কথা ডেক্স / ২৯১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ৫:২৫ অপরাহ্ন

ভোজন প্রিয় বাঙালির শীত মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম। অগ্রহায়ণের নতুন ধানের চালের পিঠা না খেলে অসম্পূর্ণ থাকে বাঙালিয়ানা। একসময় শহর বা গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই ও তেলের পিঠাসহ বাহারি এবং নানা স্বাদের পিঠা। বাড়ি বাড়ি ধুম পড়ত পিঠা খাওয়া।

তবে সম্প্রতি আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউব থেকে বাড়ির মা-বোনেরা নানা রেসিপি দেখে রেসিপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে দেশীয় সব পিঠা এখন আর বাসাবাড়িতে খুব একটা তৈরি হয় না। তবে এসব পিঠার কদর এখন ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে।

প্রতি বছর শীত মৌসুমে মাগুরা জেলা শহর সহ মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এসব পিঠার দোকান লক্ষ্য করা যায়।

শুধু মোড়েই নয়, উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও একশ্রেণির মানুষ এসব পিঠা তৈরি করে বাড়তি আয় করছে। এসব পিঠার দোকানে ভিড় করে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের নারী-পুরুষসহ নানা বয়স এবং নানা পেশার মানুষ।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শীত এলেই মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার একশ্রেণির মৌসুমি ব্যবসায়ী শীতের নানান পিঠার দোকান দিয়ে বসেন। এসব দোকান উপজেলার প্রধান প্রধান মোড়ে বসেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শীতের ভাপাপুলি, চিতই এবং স্থানীয় ভাষায় গোটা বা মুঠো পিঠা তৈরি করে বিক্রি করা হয়। এসব পিঠার দোকানে মাঝেমধ্যে এত ভিড় হয় যে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করে পিঠা খেয়ে থাকেন এবং বাড়ির জন্য নিয়ে যান।

জানা গেছে, বাসা-বাড়িতে পিঠা বানানোর নানা ঝামেলার কারণে শহরের অনেক অভিজাত পরিবারের মানুষও এসব পিঠার দোকানে এসে গরম গরম পিঠা তৈরি করে দাঁড়িয়ে থেকে খেয়ে এবং বাড়ির জন্য নিয়ে যান। এছাড়া সকালে অনেক ছিন্নমূল এবং শ্রমজীবী মানুষ এসব পিঠা খেয়ে সকালের নাশতার কাজ সারেন। এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই ১০ টাকায়, তেলের পিঠা এবং স্থানীয় ভাষায় মুঠো বা গোডা বা গরগরি পিঠা ৫ ও ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়। চিতই পিঠার সঙ্গে দেয়া হয় শুঁটকি ভর্তা, সরিষা বাটা ও ধনেপাতার ভর্তা। আর মুঠো পিঠায় বেগুন ভর্তা দেয়া হয়। তবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এসব পিঠার দোকান বসলেও সন্ধ্যার পর শহরের খরমপুর মোড়ের পিঠার দোকানে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়।

এসব মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা শীতের ঠিক আগ থেকে শুরু করে এবং শীতের শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যবসা চালিয়ে যান। এতে তারা শীত মৌসুমে বাড়তি আয় করে থাকেন বলে জানান স্থানীয় পিঠা ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে উপজেলার ধোয়াইল বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার মোড়ের ভাপা পিঠা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন ০৮-১০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করা হয়। এতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় এবং এতে সংসার ভালোভাবেই চলে যায়।

 

এসব দোকানে পিঠা খেতে আসা ক্রেতারা জানায়, বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলার কারণে আমরা এই ফুটপাতে পিঠা খেতে আসি মাঝেমধ্যে অবশ্য বাড়ির জন্যও নেয়া হয়। এসব পিঠা ফুটপাতে বিক্রি হলেও গুণগতমান ভালো এবং গরম গরম খাওয়ার কারণে অনেক স্বাদ হয়। টং দোকানে বসে চা খাওয়ার যেমন মজা, তেমন ফুটপাতের পাশে দাঁড়িয়ে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এক সময় ছোট বেলায় দেখতাম আমাদের মায়েরা, নানীরা উঠোনের মাটির চুলায় রাত জেগে নানা রকম পিঠা তৈরি করত এবং উঠানে বসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মজা করে খেতাম। এখন সে অবস্থা আর নেই। এছাড়া আমরাও আধুনিক যুগে প্রবেশ করার কারণে আমরা এখন সেসব ভুলে গেছি। তাই ফুটপাতের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।

শীতের এসব পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে পিঠা ব্যবসায়ীদের বাড়তি আয়ের পাশাপাশি যারা নানা কারণে বাসায় পিঠা তৈরি করে খেতে পারেন না তাদের জন্য শীতের পিঠা খাওয়ার সহজ পথ হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্যকেও ধরে রেখেছে এসব মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ী।

 


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!