মাগুরার মহম্মদপুরের ৫নং বালিদিয়া ইউনিয়নের চর বড়রিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের এক সমর্থকের দুই চোখেই ভমড় দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আহত ব্যক্তি হলেন মোঃ জিল্লুর রহমান (৪৪)
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে,সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে জিল্লুর রহমান বাড়ি থেকে মাগুরা যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা করেন। চর বড়রিয়া পল্লী টাউন ক্লাবের সামনের রাস্তায় পৌছালে ষড়যন্ত্র ভাবে তার উপর হঠাৎ আক্রমন করা হয়।বেশ কয়েক জন মিলে হাত পা বুকের উপর বসে ভমড় দিয়ে দুই চোখ খুঁচিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়।
জানা গেছে ৬ জন মিলে তাকে গুরুতর আহত করে ১.মিলন বিশ্বাস( ৩৫) পিতা- মৃত সহিদ বিশ্বাস ২.সুন্দর আলী (২৭) পিতা-ওহাব মাস্টার ৩.চুন্নু মোল্ল্যা(৩২) পিতা-মৃত আবির মোল্ল্যা ৪.লিঠু মোল্ল্যা(২৬) পিতা- লিয়াকত ৫. নজরুল মোল্ল্যা (৩৫) পিতা- আবু মোল্ল্যা ৬. লিপু মোল্ল্যা, আহত ব্যক্তি পান্নু বিশ্বাসের দলের লোক।ঘটনা স্থলে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন এরশাদ মীর(৩৫) পিতা – ছলেমান মীর।
ঘটনার সূত্রে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে দুই পক্ষের মাঝে।আহত জিল্লুর রহমান কে সংগে সংগে মহম্মদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ফরিদপুর নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ওই গ্রামে চরম উত্তেজনার মুহুর্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হোন রাজু মোল্ল্যা(১৩) পিতা- পিকুল মোল্ল্যা এবং উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়।
ওই গ্রামের পান্নু বিশ্বাস গ্রুপের ৪ টি বাড়ি ভাংচুর হয়, ১. জিল্লুর রহমান ২.কাবুল মোল্ল্যা ৩. নজরুল মোল্ল্যা ৪. বাঁশি মোল্ল্যা এবং রান্নু মোল্ল্যা গ্রুপের ৬ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর চালিয়েছে, ১. পিকুল মোল্ল্যা ২.ইকবল মোল্ল্যা ৩.উজ্জল মোল্ল্যা ৪. মিলন মোল্ল্যা ৫. মনিরুল বিশ্বাস ৬.ভিকু মোল্ল্যা,
আহত জিল্লুর রহমান বর্তমানে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
আহত ব্যক্তির পরিবার ও উভয় পক্ষের সূত্রে উপরোক্ত তথ্য পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,চর বড়রিয়া গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়,পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।