পরশুরামের মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো ও তার ক্যাডার বাহিনীর ব্যাপক মারধরে ঠিকাদার বাবুলের ম্যানেজার শাহীন চৌধুরী (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মির্জানগর ইউনিয়ন বিএনপির প্রয়াত সভাপতি বাবুল মেম্বারের কাছে ৮ লাখ টাকা পান ঠিকাদার বাবুল।
ঘটনার সময় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বাবুল মেম্বারের ছেলে হাসেমকে ঠিকাদার বাবুলের অফিসে আটকে রাখে শাহীন। এদিকে হাসেমকে আটকে রাখার খবর শুনে ভুট্টো চেয়ারম্যান তার সহযোগী সোহাগ, ইব্রাহিম, কামাল ও ফরিদ চৌধুরীসহ একদল ক্যাডার নিয়ে পরশুরামের উত্তর বাজারে ঠিকাদার বাবুলের অফিসে ছুটে যায়।
সেখানে পৌঁছেই শাহীন চৌধুরীকে বেপরোয়া কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে ভুট্টো ও তার ক্যাডাররা।মারধরের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শাহীন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। নিহত শাহীন চৌধুরী উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলী গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকেই ভুট্টো চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে পরশুরাম থানার ওসি খালেদ দাইয়ান ও একটি প্রভাশালী মহল নিহতের পরিবারকে ম্যানেজের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে পরশুরাম থানার ওসি খালেদ দাইয়ানকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি। ঘটনা জানাজানির পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে চেয়ারম্যান সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।