রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাঘায় উদ্দীপনের দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা সচেতনতায় সেমিনার অনুষ্ঠিত। ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো নওগাঁর মান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন পঞ্চগড়ে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রংপুরে জেলা ও মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ রাজশাহীতে আরএমপিতে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের ২০১৮ ক ব্যাচের কনস্টেবলদের ব্রিফিং অনুষ্ঠান বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বাঘায় সংবাদ সম্মেলন রাবির আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩ কর্মকর্তাকে পুলিশে দিয়েছে ছাত্ররা বাঘায় জুলাই আহত-শহীদদের স্বরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আ.লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের মতবিনিময় রংপুরে পালিত হচ্ছে জুলাই শহীদ দিবস উত্তরের জনপদের যুগান্তকারী হরিপুর-চিলমারী সেতু চলতি মাসেই উদ্বোধন রাজশাহীর আদালত চত্বরে দুই কাজির হাতে নারী লাঞ্ছিত অটোরিকশা চালিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস জিপিএ- ৫ পাওয়া রোমান উচ্চশিক্ষা নিয়ে হতাশ “আগে সংস্কার পরে নির্বাচন—এই কথা আর শুনতে চাই না”: রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান রাজশাহী পুলিশ লাইন্স স্কুলের এসএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানালেন পুলিশ কমিশনার মহোদয় রাজশাহী বিভাগের ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) সাপ্তাহিক মিটিং অনুষ্ঠিত জিপিএ-৫ অর্জনকারী কৌশিক কুমার সাহা প্রকৌশলী হয়ে দেশের সেবা করতে চাই মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দুটি পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

যেভাবে শীর্ষ সন্ত্রাসী হলেন ”জিসান”

মাগুরার কথা ডেক্স / ৬৮৩ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:১২ অপরাহ্ন

ঝিনুক টিভি ডেস্ক-

গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে। অপরাধজগতের খোঁজ রাখেন এমন একটি সূত্র জানিয়েছেন, ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী যে অভিযান হচ্ছে, তার সঙ্গে জিসানকে গ্রেপ্তারের যোগসূত্র রয়েছে। এ ঘটনাকে তারা অপরাধজগতের মেরুকরণ হিসেবে দেখছে। জিসান গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁর জায়গা নতুন কেউ দখল করবেন।

ঢাকায় ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এআইজি-এনসিবি) মহিউল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে দুবাই পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়ার পর তাঁরা জিসানকে শনাক্ত করেন। গ্রেপ্তারের পর দেখা যায়, জিসানের হাতে ভারত ও ডমিনিকান রিপাবলিকের পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এত দিন দুবাইয়ে অবস্থান করছিলেন। জিসানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারত ও থাইল্যান্ড ছাড়া আর কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তবে দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাগ্রিমেন্ট বা এমএলএর মাধ্যমে জিসানকে ফিরিয়ে আনা যাবে।

বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা জিসান আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বুধবার সে দেশের পুলিশ জিসানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকায় ইন্টারপোলে শাখা কার্যালয়কে জানিয়েছে। কীভাবে সন্ত্রাসী জিসান?
কুমিল্লার ছেলে জিসানের বেড়ে ওঠা ঢাকার রামপুরায়। এলাকার ছোটখাটো মাস্তানি করতে করতে একসময় পুরোদস্তুর চাঁদাবাজ হয়ে যান। ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে খিলগাঁও এলাকার সন্ত্রাসী আসিফের সঙ্গে মিশে অস্ত্র হাতে নিয়ে খুনখারাবিতে জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় ঢাকায় কালা জাহাঙ্গীর গ্রুপের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে। ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি সরকার ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে। এই সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় জিসানের নামও ছিল।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুই ডিবি পুলিশকে হত্যা করেন জিসান। এরপর তাঁকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে চলে যান। এরপর তাঁর নামে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
ঢাকায় পুলিশের সূত্র জানায়, সেই সময় পালিয়ে গিয়ে প্রথমে ভারতে আশ্রয় নেন জিসান। সেখানে নাম পাল্টে আলী আকবর চৌধুরী পরিচয় দেন। সেই নামে ভারতীয় পাসপোর্টও সংগ্রহ করেন। পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান দুবাই উল্লেখ রয়েছে। দুবাইতে বসে রেস্তোরাঁ ও গাড়ির ব্যবসা করেন তিনি।

দুবাইতে গ্রেপ্তার ভারত ও ডমিনিকানের পাসপোর্ট ঠিকাদারি কাজ বাগাতে জিসানকে ব্যবহার করেছেন খালেদ–শামীম ঢাকায় থাকার সময় জি কে শামীমের সঙ্গে জিসানের ভালো সম্পর্ক ছিল। বিদেশে পালিয়ে থাকার সময় শামীম তাঁকে ব্যবহার করতে শুরু করেন। যেকোনো ঠিকাদারি কাজ বাগাতে জিসানকে কাজে লাগান শামীম। ২০১২ সালে টেন্ডারবাজি নিয়ে মগবাজারে তিনজনকে খুন করে জিসানের লোকেরা। ওই খুনের পর জি কে শামীমের বাসায় তল্লাশি করে ডিবি পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজউক থেকে শুরু করে রেলভবন, গণপূর্ত, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার বিভিন্ন অঞ্চলের টেন্ডারের নিয়ন্ত্রণ নিতে জিসানকে ব্যবহার করেন শামীম। জিসানের হয়ে ফ্রিডম মানিক ও আইমান টিটু সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে জি কে শামীমের। তখন খালেদ মাহমুদের সঙ্গেও জিসানের ভালো সম্পর্ক ছিল। খালেদের মাধ্যমে জি কে শামীম যুবলীগের একটি পদ পেয়ে জিসানের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দেন। তাঁরা নিজেরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ বাগাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে জিসানকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে জি কে শামীম ও খালেদকে হত্যার হুমকি দেন জিসান। এরপর ভয়ে শামীম ও খালেদ দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা শুরু করেন। জিসানকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকায় পোস্টারও সাঁটেন জি কে শামীম।

গ্রেপ্তার হওয়া জি কে শামীম ও খালেদকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‍্যাব। জানতে চাইলে র‍্যাব-৩–এর একজন কর্মকর্তা বলেন, শামীম ও খালেদ জিজ্ঞাসাবাদে জিসানের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এখন জিসানকে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!