অনলাইন ডেস্ক:
বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটের শ্যামবাজার উল্টিগঞ্জ পয়েন্টে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর সোমবার রাত ১০টার দিকে সুমন ব্যাপারী (৩২) নামে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সুমন ব্যাপারী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার আব্দুল্লাপুর গ্রামের ফয়জুল বেপারীর ছেলে। ৮ ভাই বোনের মধ্যে ফয়জুল সবার ছোট। তিনি সদরঘাটে ফেরি করে ফল বিক্রি করতেন।
সোমবার সকালে অন্যদের সঙ্গে তিনিও মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি ঘাট থেকে ওই লঞ্চে উঠে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
উদ্ধারের পর পরই তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তাকে কিছুক্ষণ অক্সিজেন দেয়ার পর আশঙ্কা কেটে গেলে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-৫ এর ২৩ নম্বর বেডে সহযোগী অধ্যাপক দূর্বা হালদারের আন্ডারে ভর্তি করা হয়।
ওই রোগী মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন জানিয়ে ও ইউনিটের সহকারী রেজিস্টার ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি পানিতে দীর্ঘক্ষণ থাকার সিম্পটম ছিল। আমরা উনাকে অক্সিজেনসহ নিয়মানুযায়ী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
পানির মধ্যে এত ঘণ্টা থাকার পরও কীভাবে জীবিত থাকে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ডাক্তারি জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি। এটা সৃষ্টিকর্তা কিংবা আল্লাহ যায় বলেন, তার বিশেষ অনুগ্রহ।
বাংলাদেশ সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, উদ্ধার অভিযানে লিফট পদ্ধতিতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের সময় উনাকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা দেখতে পায় এবং জীবিত থাকার সম্ভাবনা থেকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কিভাবে এত সময় জীবিত থাকতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি সম্ভবত লঞ্চের ইঞ্জিন রুমের ভেতর কোনো এক জায়গায় ছিলেন, যেখানে অক্সিজেন ছিল। ওই অক্সিজেনে তিনি দীর্ঘক্ষণ বেছে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর ২ লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৮ জন নারী, ৩ জন শিশুসহ ৩২ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্রেডিট: যুগান্তর অনলাইন