গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি বোমা পুতে রাখার ঘটনায় করা ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স ও মামলার সব নথি হাইকোর্টে এসেছে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ এ মামলায় ১৪ আসামিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছাহেব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মাহমুদ আজাহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল খান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
আসামিদের মধ্যে আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল হক ও মোছাহেব হাসান পলাতক। হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান এই মামলার অভিযোগভুক্ত আসামি হলেও অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বিস্ফোরক আইনে মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।