শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাকিম সবুজ এর বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ করেছেন কাশিমাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী আলী হাসান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি জানান গত ইং ২০১৯ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মেয়াদাত্তীর্ণ কমিটি শেষে নতুন কমিটিতে সভাপতি হতে ইচ্ছুক ছিলেন তিনি। বিধায় বিধি মোতাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর যোগাযোগ করেন গাজী আলী হাসান। তৎকালীন সভাপতি লায়েছ তাকে সাধারণ সম্পাদক সবুজের মতামত নিয়ে জানান তার(লায়েছ) কোন আপত্তি নেই। তখন গাজী আলী হাসান সাধারণ সম্পাদক সবুজের সাথে দেখা করলে সবুজ তাকে কাশিমাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি করার জন্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। সে অনুযায়ী বিগত ইং ২৩-০৪-২০১৯ ইং তারিখে আলী হাসানের নিকট থেকে শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজ নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আলী হাসানের কমিটিতে স্বাক্ষর করেন।
কিন্তুু কিছু সময় পরেই স্বাক্ষর তার নয় মর্মে বিবৃতি দিয়ে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক সবুজ সুকৌশলে সভাপতি লায়েছের চক্রান্ত বলে চালিয়ে দেন।
তৎকালীন পরিস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে লায়েছকে বহিস্কার সহ শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগ ও এর অধীনস্ত সকল ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বলে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান।
এ ঘটনায় বহিস্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি একরামুল হক লায়েছ তার প্রতিক্রিয়ায় জানান কেন্দ্রীয় এক নেতা সম্পর্কে ভাইয়ের যোগাযোগে পদ পাওয়া সবুজ মূলত নিষিদ্ধ জামায়াত পরিবারের সন্তান । তার হাতে শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগ কখনও নিরাপদ ছিল না। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি দখলবাজি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন সহ ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীদের ক্ষতি করে আসছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর এই জামায়াত পরিবারের আব্দুল হাকিম সবুজ আবারও সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিলে ব্যাপক সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে।