শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মানবতার সেতুবন্ধন: বাঘার কৃতি সন্তান রথীন্দ্রনাথের উদ্যোগে সম্প্রীতির উৎসব দুর্গাপুর শঠিবাড়িতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে শারদী দুর্গাপূজা জমকালো আয়োজনে “দৈনিক রাজশাহীর আলো”র ১৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন রাজশাহীর মোহনপুরে আ.লীগের গোপন বৈঠক ও কেক কাটার ঘটনায় অধ্যক্ষ বেলাল আটক আমরা সব ধর্মকে নিয়ে মিলেমিশে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়বো: সাবেক এমপি শাহজাহান মিঞা বাঘায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপির নেতা মানিক খান মোহনপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন এমপি প্রার্থী রায়হান রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক রিটনের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন রাজশাহীতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতার নামে চাঁদাবাজি অভিযোগ সোনামসজিদ ও মহদিপুর বন্দরে গড়ে উঠেছে চোরাকারবারী সিন্ডিকেট মোহনপুরে গ্যাজুয়েট স্বপ্নসারথিদের মাঝে সনদ বিতরণ সীমান্তবর্তী পূজা মন্ডপে কড়া নজরদারিতে ১৫ বিজেবি,১৪৫টি পূজা মণ্ডপে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত ধূরইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুলে জানালেন ওয়ার্ড সদস্যগন বাঘা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু খুলনা কবি-সাহিত্যিক ফোরাম আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের পঙক্তিমালা ও জুলাই পদক-২০২৫ অনুষ্ঠিত বাঘায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণে ছাত্রদল নেতা শামিম সরকার সাক্ষী পৃথিবী
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

সাতক্ষীরার গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুক্তিযোদ্ধারা সোনার বাংলাদেশ দেখতে চান

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ / ৭৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী।১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে প্রথম বিজয় সূচিত হয় ।১৯ নভেম্বর,১৯৭১ সাতক্ষীরার শ্যামনগর প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এরপর সাতক্ষীরার বিভিন্ন জনপদ মুক্ত হতে শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার সর্বস্তরের মানুষের ভূমিকা জেলার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়।

স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র যুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে কয়েকটি সেক্টরে দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তারমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছিল ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীন। পরবর্তীতে গড়ে ওঠা ৯ম আর ৮ম সেক্টরের সাতক্ষীরার ভোমরা ছিল প্রথম ক্যাম্প। এখানেই সূচনালগ্ন থেকে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় জনসাধারণ আর তৎকালীন ই.পি.আর ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে সাতক্ষীরায় যাদের নাম উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে আব্দুল গফুর এম এন এ, ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার, মমতাজউদ্দিন এম পি, কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ, স ম আলাউদ্দিন, এ এফ এম এন্তাজ আলী, সৈয়দ কামাল বখত সাকী এমপি, শ্যামনগরের একে ফজলুল হক এমপি, কালিগঞ্জের শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, বাবর আলী, শেখ আতিয়ার রহমান, বরিশালের নুরুল ইসলাম মন্জু, লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, কাজী কামাল ছট্টু, মীর এশরাক আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, আজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম খান, খায়রুল বাশার, এনামুল হকের নাম উল্লেখযোগ্য ।১৯৭১এর এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে সুবেদার আব্দুল হাকিম আর তৎকালীন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী হাকিম খান এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা ট্রেজারি হতে অস্ত্রশস্ত্র লুট ও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অলংকার ও টাকা-পয়সা লুট করা হয় মুক্তিযুদ্ধের খরচাদি বহনকল্পে। ২৯ এপ্রিল পাক বাহিনীর সাথে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয় ভোমরায়। দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা উভয় পক্ষের গোলাগুলি বিনিময়ে পাক বাহিনী হারিয়েছিল তাদের কয়েকজন সেনাকে। আর দু’ দফার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল তিন বীর যোদ্ধা। পরবর্তীতে বৈকারী, ঘোনা, কুশখালি, টাউন শ্রীপুর, ভাতশালা, কাকডাঙ্গার যুদ্ধেও তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে সময় ৮ নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর মঞ্জুর আর ৯নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল ও মেজর জয়নাল আবেদিন। এছাড়া নৌপথে যুদ্ধ পরিচালনা করেন জি এম রহমতুল্লা দাদু। সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধাদের অকৃত্রিম দেশত্ববোধ আর বীরোচিত যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসাবে ১৯৭১ এর ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর শত্রুমুক্ত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী শ্যামনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জি এম ওসমান গনি বলেন, সেদিন ছাত্র ছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে একটি লাল সবুজের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম। সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। দেখতে দেখতে ৫০ টি বছর পেরিয়ে গেল। জীবন সায়াহ্নে যেন দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর