ডেস্ক রিপোর্ট : মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির দশম সাক্ষী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
সাতক্ষীরার পিপি আব্দুল লতিফ বলেন, মামলাটির দশম সাক্ষী মুনসুর আহমেদকে রাষ্ট্র্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেননি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ বলেন, সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়ে আছে। তাই সাক্ষীকে জেরা করেননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
মামলার বরাতে পিপি লতিফ জানান, ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ‘ধর্ষণের শিকার’ এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
লতিফ বলেন, এই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭০/৭৫ জনের নামে আদালতে মামলা করেন।
এর এক যুগ পর আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে তিনি জানান।
লতিফ আরও বলেন, এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনে হাই কোর্ট চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এবং ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করারর নির্দেশ দেয় মুখ্য বিচারিক হাকিমকে।