সাতক্ষীরায় পাটের আবাদ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় বিরাজ করছে। পাট চাষের মৌসুম শেষ হতে যাচ্ছে, অথচ এ জেলায় এখন পর্যন্ত পাটের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তিন ভাগের দুই ভাগ।
এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুর সময়টা পাটবীজ বপনের উপযুক্ত সময়।এজন্য আগে থেকেই ভারত থেকে আমদানি সম্পন্ন করা হয় প্রয়োজনীয় পাটবীজ।কিন্তু এবার মৌসুম শেষ হতে চললেও এখনো চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পাটবীজ দেশে এসে পৌঁছেনি বলে সূত্রে প্রকাশ।
এছাড়া, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার জমিতে জোঁ আসেনি। তাই পাটের বীজ বপন করতে পারেনি কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্র জানায়, সাতক্ষীরায় এবছর ১১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লক্ষ ৩৯ হাজার ১০০ বেল। জেলার সাত উপজেলায় ইতোমধ্যে পাটের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫৩০ হেক্টর।
সূত্রমতে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৪৭৬০ হেক্টর জমিতে ৫৭ হাজার ১১০ বেল, কলারোয়া উপজেলায় ৩৫১০ হেক্টর জমিতে ৪২ হাজার ১১০ বেল, তালা উপজেলায় ২৯৬০ হেক্টর জমিতে ৩৫ হাজার ৫১০ বেল, দেবহাটায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ১১৩০ বেল, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে ১৮৪০ বেল, আশাশুনি উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ১১২০ বেল এবং শ্যামনগরে ২৫ হেক্টর জমিতে ২৮০ বেল পাট উৎপাদনের টার্গেট করে কৃষি বিভাগ।
কিন্তু নানা কারণে আবাদের সেই টার্গেট পূরণ হয়নি। ইতোমধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৩৮৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৭০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ২৮৬০ হেক্টর, দেবহাটায় ৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলাঢ ১২ হেক্টর এবং শ্যামনগর উপজেলায় মাত্র এক হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জমিতে জোঁ আসেনি। পাট চাষে জমিতে জোঁ লাগে। তাছাড়া করোনার কারণে প্রতিবেশি দেশ থেকে সময়মতো পাটের বীজ আমদানি না হওয়ায় কৃষকরা বীজ পায়নি। এতে করে পাটের আবাদ নিয়ে এ বছর সংশয় থাকলেও আশা করি টার্গেটের কাছাকাছি পৌছাবে। এখনো সময় আছে, মৌসুম চলছে। সবে দু’এক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাটের বীজ বপনের এখনই সময়। তিনি কৃষকদের স্থানীয় ব্লক সুপারভাইজার ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণের আহ্বান জানান।