পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সাতক্ষীরা এবং খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বাঁধের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পানের পর এই এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখেছি। আগামীতে উপকুলের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, উপকুলের ভাঙ্গন কবলিত ১২ টি পয়েন্টের ভেড়ি বাধ সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ সম্পন্ন করেছে। ১২ টি প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আজ শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা ও খুলনার কয়রার বিভিন্ন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
এসময় খুলনা (কয়রা- পাইকগাছা)-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস,এম,জগলুল হায়দার, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পরিকল্পনা) ড. মো মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ,
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সুন্দরবন উপকুলীয় সাতক্ষীরা শ্যামনগরের দাতিনাখালী, লেবুবুনিয়া, খুলনা জেলার কয়রার গোলখালী, বেদকাশী, হরিণখোলা, আশাশুনি উপজেলার চাকলা ও কুড়িকাউনিয়া ভাঙন এলাকার পরিদর্শন করে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারো এখানে পাঠিয়েছেন। উপকুলের মানুষের কথা আমরা ভুলে যায়নি। সে জন্য বারবার এসেছি। আগামীতে আবারো আসবো।
তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে আমাদের কাজে ধীরগতি হয়েছিল। তবে আম্পানের আগে জানুয়ারি মাসে এসে এই এলাকায় বাঁধগুলোর ভঙ্গুর দশা দেখে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু মে মাসে আম্পানে সুন্দরবন উপকুলীয় সাতক্ষীরা – খুলনা এলাকার বাঁধগুলো ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এলাকায় সাতক্ষীরা এবং খুলনার কয়রা, বেদকাশি এলাকা পরিদর্শন করে এখনকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখেছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই টেইসই বাঁধ আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ দিতে যেয়ে যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার ভ্যাকসিনে কোন ভয় নেই উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে।এ মাসের ৭ তারিখ থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ভ্যাকসিন দিলে সবাই সুরক্ষায় থাকবেন।
সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। মাক্স ছাড়া চলা যাবে না। দেশ সমৃদ্ধশালী হবে সেটা দেখতে হলে বেঁচে থাকতে হবে।
এই এলাকার মানুষের কথা আমরা ভুলে যায়নি। এপর্যন্ত তিনবার এসেছি। দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাঁনো আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য।