 
     
 অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সমাপ্ত হলো এবারের কাত্যায়নী পূজা
ঐতিহ্য ও শৈল্পিক মহিমায় সেজে উঠেছিলো মাগুরা শহর। দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হয়েছে এ বছরের শ্রীশ্রী কাত্যায়নী পূজা। যদিও প্রতিমা বিসর্জন হবে শনিবার (১ নভেম্বর)।
মাগুরা পৌরসভা এলাকায় এবার প্রায় ১৫টি পূজা মণ্ডপে দেবী আরাধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর পুরো মাগুরা জেলাজুড়ে ১০০টিরও বেশি মণ্ডপে হয়েছে কাত্যায়নী পূজা। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই চলেছে উৎসবের আমেজ।
নজরকাড়া ডিজাইন, শিল্পীর নিখুঁত ছোঁয়া ও শৈল্পিক কারুকার্যে সজ্জিত প্যান্ডেলগুলো এখনো দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পুরনো ঐতিহ্যকে ধারণ করে অনেক মন্দিরে দেখা গেছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া, আবার কোথাও নতুনত্বে ভরপুর শিল্পকর্মে ভাসছে আনন্দের রঙ। পূজা ঘিরে বসেছে বাহারি দোকানপাট, আলোয় ঝলমল করেছে পুরো শহর।
দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ কেড়েছে নিজনান্দুয়ালির নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রমের প্যান্ডেল। দূর থেকে মনে হবে যেন হাওয়ায় ভাসছে এই নান্দনিক প্যান্ডেল। নতুন বাজার ঢালাই ব্রিজের ওপর নির্মিত প্রায় ৯০ ফিট উচ্চতা ও ৩০ ফিট প্রস্থের এই প্যান্ডেলটি নিখুঁত ডিজাইন ও কারুকার্যে সত্যিই অনন্য এক সৃষ্টি।
নবমীর রাতে, অর্থাৎ পূজার শেষ রাতে, লক্ষ্য লক্ষ্য দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় জমে মাগুরা শহরের প্রতিটি মণ্ডপে। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে আনন্দ-উল্লাসে। পুরো শহরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ, আলোকসজ্জা আর ঢাকের তালে তালে ভক্তদের উচ্ছ্বাস।
সৃজনশীল চিন্তা, পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ফুটে উঠেছে পুরনো সেই শৈল্পিক ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ। বিভিন্ন পূজা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বাধিক দর্শনার্থী মাগুরায় এসেছেন পূজা দর্শনে।
সবচেয়ে বড় কথা, কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে এবারের কাত্যায়নী পূজা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এবং আরও বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে পূজা অনুষ্ঠিত হবে—এই প্রত্যাশায় তারা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
