শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ করার শুরুর দাবিতে মশাল মিছিল তিস্তা পাড়ে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ রাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ, ফলাফলে অপেক্ষায় দেশ ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে জনতার বিক্ষোভ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের ৫ সদস্য আটক বাঘায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা মাগুরায় দুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ মাগুরা দুই উপজেলার নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি)র যোগদান। মাগুরায় বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস ২০২৫ উদযাপন ও র‍্যালি, স্মার্ট সাদাছড়ি বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রতিবন্ধী জসিমের কাঁচামালের দোকানে ইউএনও দবির উদ্দিন পানি নিয়ে বৈষম্য গোদাগাড়ীর মাটিতে মেনে নেওয়া হবে না : সাবেক চেয়ারম্যান হযরত পবায় নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারে ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মহম্মদপুরে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন মোহাম্মদপুরে বাবুখালী নদীতে অবাধে চলছে ইলিশ শিকার মাগুরায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন রাজশাহীতে খাদ্য বিভাগের গাফিলতি : ডিসি ফুড ও আরসি ফুডের ছত্রছায়ায় লুটপাট মাগুরার মহম্মদপুরে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বাল্যবিবাহ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এক বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ঐক্যের প্রতিক বরেন্দ্র প্রেসক্লাব: নব-নির্বাচিত সাংবাদিকদের সংবর্ধনায় ইউএনও
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়

মাগুরার কথা ডেক্স / ২৮৯ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়।

 

কুঁড়েঘরের বারান্দার মাটির মেঝেতে বসে কান্না লুকানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। কালো রোদচশমার ফাঁক গলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কোলে। কখনো বাড়ির দিঘিরপাড়ে, কখনো পৈতৃক ভিটায় বসে এভাবেই নীরবে চোখের জল ফেললেন। পরে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের পানি বোতলে ভরে নিয়ে গেলেন।

ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতাকে এভাবে দেখে অবাক হয়েছেন চেচরীরামপুর গ্রামের মানুষ। যাঁরা নচিকেতার গান শুনেছেন কিংবা তাঁর সম্পর্কে জানেন, তাঁরা নচিকেতার মাতৃভূমির প্রতি এমন টান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রিয় শিল্পীর কান্না দেখে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরও চোখে পানি ঝরেছে।

নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্ম কলকাতায়। পূর্বপুরুষের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। ২০১৪সালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন দুপুরে আসেন চেচরীরামপুর গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন জানান, হেলিকপ্টারে করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা শহরে আসেন নচিকেতা। স্থানীয় বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতিকুর ইসলাম, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর দাস তাঁকে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের একটি স্মরণিকা উপহার দেন।

শংকর দাস বলেন, নচিকেতার দাদু (মায়ের বাবা) ললিত মোহন গাঙ্গুলী বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি এ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দাদুর স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয়ে এসে প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী আবেগে শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন।

বিদ্যালয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সড়কপথে যান ভান্ডারিয়া শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কাঁঠালিয়ার চেচরীরামপুর গ্রামে। সেখানে ললিত মোহন গাঙ্গুলীর বাড়ির পাশেই জমি কিনে বসবাস করতেন নচিকেতার বাপ-দাদার পরিবার। সেখান থেকেই বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী ১৯৪৫ সালে সপরিবারে ভারত চলে যান।

গ্রামের লোকজন জানান, নচিকেতা প্রথমে গিয়েই বসেন বাড়ির দিঘিরপাড়ে। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন উৎসুক লোকজন। দিঘির জলের দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। এরপর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন তাঁদের ভিটায় এখন আনোয়ার সিকদার নামের এক ব্যক্তি ঘর তুলে বসবাস করছেন। একজন দেখিয়ে দেন তাঁর পৈতৃক ভিটা। সেখানে আনোয়ারের কুঁড়েঘরের বারান্দায় মাটিতে বসে পড়েন তিনি। এ সময় আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সবার সামনেই কেঁদে ফেলেন।

নচিকেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৪৫ সালে আমার বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী সপরিবারে ভারতে চলে যান। কলকাতায় আমার জন্ম। এখানে এসেছি নাড়ির টানে। অনেক দিন ধরে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি। সময় পেলে আবার গ্রামে আসব।’ উপস্থিত গ্রামবাসীকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা আমার আপনজন।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর