কেশবপুরে বলধালী বিলের একটি মাছের ঘেরের দখল নিয়ে দুটি পÿ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যেকোন সময় রক্তÿয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ওই বিলের ঘেরপাড়ে কৃষকরা পুনরায় ঘেরটি ৫ বছরের জন্যে আসাদকে ডিড করে দেবার জন্য সমাবেশ করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে ঘের পাড়ে কৃষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে জমির মালিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়াজেদ আলী, নুর আলী সরদার, মিনতি বিশ্বাস, মিনা বিশ্বাস প্রমুখ। জানা গেছে, কেশবপুরের মূলগ্রামের বলধালীর সাচির বিলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে কোন ফসল উৎপাদন হতো না। ফসল না হওয়ায় কৃষকদের পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এ সময় সেচ দিয়ে বোরো আবাদের শর্তে সাচির বিলের ৭০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমি কেশবপুরের ঘের ব্যবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদকে ৬ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যার ক্যানেল বেঁড়ি ৪৫ হাজার, সাদা জমি বিঘা প্রতি ১৪ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে চুক্তিপত্রে উলেস্নখ করা হয়। আগামী ২০২২ সালের ১৩ মার্চ ওই ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে কৃষকরা তাদের জমির হারির টাকা সময় মত পাওয়ায় পুনরায় ঘেরটি সেলিমুজ্জামান আসাদকে দেয়ার জন্যে আগামী ৫ বছরের জন্যে তার সাথে চুক্তি হয়। যাতে ৭০ জন জমির মালিকের মধ্যে ৬২ জন আসাদের পÿে চুক্তিপত্রে স্বাÿর করেছেন। ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করে বলেন, মূলগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, লুৎফর রহমানসহ ৪/৫ জন ব্যক্তি তার ওই মাছের ঘের দখলে নেয়ার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ইতোমধ্যে তারা কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাÿর করানোর চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা এলাকার হিন্দুপাড়ার লোকদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক চুক্তিপত্রে স্বাÿর করানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক ভয়ভীতি ও হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই বিলে ১০০ জন জমির মালিকের ৭০ বিঘা জমি রয়েছে। যার মধ্যে ৯২ জন জমির মালিক আমার ডিডে স্বাÿর করে দিয়েছেন।