কেশবপুরে পারিবারিক কলোহের জের ধরে অসিত মলিস্নক নামের এক যুবকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। ওই যুবকের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তাকে ফাঁসাতে একের পর এক হামলা মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়িতে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে অসিত মলিস্নক এসব অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন,২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল সুফলাকাটি ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ডা. নারায়ন চন্দ্র মলিস্নকের ছেলে অসিত চন্দ্র মলিস্নকের সাথে পার্শ্ববর্তী আড়ুয়া গ্রামের গোলক গোলদারের মেয়ে হীরা গোলদারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে অরিশা মলিস্নক নামে এক বছরের একটি কন্যা সন্ত্মান জন্ম নেয়। সংসার জীবনের শুরম্ন থেকেই তার স্ত্রী উচ্চাবিলাসী,ব্যয় বহুল জীবন যাপণ করতে থাকে। এনিয়ে পারিবারিক কলোহ লেগেই থাকতো। ৮ মাস আগে এরই জের ধরে হীরা গোলদার তার সাংসারিক জিনিসপত্র নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বিষয়টি নিরসনে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ দফায় দফায় সালিসি বৈঠক করেও বিষয়টি নিরসন করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ২০২১ সালের ৬ জুলাই যশোর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে অসিত মলিস্নক তার স্ত্রী হীরা গোলাদারকে তালাক দেয়। এদিকে,তালাকের কপি হাতে পেয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আড়ুয়া গ্রামের প্রভাবশালীরা অসিত মলিস্নককে হুমকি ধামকি দিয়ে তার বাড়িতে হীরা গোলদারকে তুলে দিয়ে আসে। এতেও কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে চলতি বছরের ৯ ফেব্রম্নয়ারি হীরা গোলদার বাদি হয়ে অসিত মলিস্নক,শ্বশুর নারায়ন মলিস্নক ও শাশুড়ি লহ্মী রানিকে বিবাদী করে যশোর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত্ম করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। অসিত মলিস্নক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিরসনে প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপÿের হস্ত্মÿেপ কামনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,অসিত মলিস্নকের বাবা নারায়ন মলিস্নক,মা লহ্মী রানী মলিস্নক,বিকাশ মন্ডল, নির্মল মন্ডল,পলাশ মলিস্নক,বরম্নন সরকার প্রমুখ।