কেশবপুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা রাজধানীতেও রপ্তানি হচ্ছে মাছ বলে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা জানান।বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৪ শত শ্রমিকরা মাছের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
শ্রমিকদের একমাত্র আয়ের উৎস হলো মাছ বাজার।সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত্ম মাছের কাজে শ্রম দিয়ে থাকে তারা শ্রমিকরা। ২৫ টি মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিকরা জানান, কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে ও যশোরের নওয়াপাড়া,সাতÿীরা,তালা,কলারোয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস্য ঘের মালিকরা কেশবপুর মাছ বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসেন। এসব মাছ কেশবপুর বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চিটাগাং, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন মাছ। বাইরে থেকে আসা মাছ ব্যবসায়ীরা কেশবপুর বাজার থেকে মাছ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা রাজধানীসহবিভিন্ন জেলাতে। মাছ বাজারের শ্রমিক আলমগীর হোসেন,ফারম্নক হোসেন,জসিম, মিনারম্নল,ওলিদ,রম্নবেলসহ অনেক শ্রমিকরা জানান,কেশবপুর মাছ বাজারে আমরা সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত্ম এই মাছের কাজে নিয়োজিত হয়ে থাকি। ৩ থেকে সাড়ে ৩ শত টাকা শ্রম পেয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচও চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা এই মাছের কাজে শ্রম দিয়ে খুব সুখে আছি। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান,এই বাজার থেকে মাছ ক্রয় করে আমরা ব্যবসা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন বাজার থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা কেশবপুর থেকে মাছ ক্রয় করে নিয়ে ব্যবসা করছে। মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা জানান,এবার বৃষ্টি না হওয়ায় আর মৎস্য ঘেরে পানি সময়মত না থাকার কারণে মাছ বড় হতে পারেনি। যার কারণে এবার আমরা ÿতিগ্রস্ত্ম হয়ে পড়েছি। জমির মালিকদের সময়মত হারি দিতে হচ্ছে আমাদের। তাছাড়া মাঘ মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য ঘের থেকে মাছ মেরে নিতে হয় কৃষকদের ইরি ধান রোপণের জন্য। কারণ কৃষকরা তাদের বোরো মৌসুমী রোপন করে থাকে প্রতি বছর। মৎস্য মাছ আড়ৎ সমিতির সভাপতি আব্দুস হান্নান বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান,বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা রাজধানীতেও রপ্তানি হচ্ছে কেশবপুরের মাছ। এ মাছ বাজারে প্রায় ৪ শত শ্রমিকরা মাছের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে ব্যবহার করে মাছের কাজ করে থাকে। মৎস্য মাছ আড়ৎ সমিতির পÿ থেকে শ্রমিকদের মাঝে মাস্ক,সাবান বিতরণ চলমান রয়েছে।