সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের মানিকখালি চরে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে দেড়শ’ পরিবার। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষদের সরকারি সহায়তার জন্য বরাদ্দ দিলেও কোন সহায়তাই পাইনি এসব মানুষরা।
আশাশুনি সদরের মানিকখালি চরের বাসিন্দা করিম মোড়লের ছেলে ইমদাদুল হক। তিনি জানান, গত ২৬ মের পর থেকে পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছি। সরকারি জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা দেড়শ পরিবার বসবাস করি। শুনেছি, দূর্গত মানুষের জন্য সরকার সাহায্য দিয়েছে তবে আমরা কিছু পাইনি। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। বাড়িতে চাল ফুরিয়ে গেছে। ধারদেনা করে বাজার থেকে চাল কিনে বাড়ি যাচ্ছি। তারপর রান্না হবে, রাতে খাবো।
আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, আশাশুনি সদরে সাড়ে ৪ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাল দেয়া হয়েছে ২৮ মে। সেদিনই দূর্গতদের মাঝে বিতরণ করার কথা বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। নগদ টাকা আজ রোববার (৩০ মে) উত্তোলন করার কথা ছিল সেটি কি করছে আমি জানি না। চাল বিতরণ করেছে কিনা আমার জানা নেই।
এদিকে, আশাশুনি সদর ইউনিয়নে কোন সরকারি বরাদ্দের টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়নি। অসহায় হয়ে পড়া দিনমজুর মানুষরা ধার দেনা করে বাজার থেকে ক্রয় করে দিন পার করছেন। এসব কথা জানিয়ে আশাশুনি সদরের মানিকখালি চরের বাসিন্দা মেছের মোড়লের ছেলে জিয়াউল মোড়ল আক্ষেপ করে বলেন, দুর্গত এলাকার গরীবদের জন্য সরকার চাল, টাকা দিয়েছে শুধু শুনছি। বাস্তবে এখনো দেখিনি। আমাদের চরে বসবাস করা মানুষদের ঘরে খাবার নেই এসব কেউ দেখে না।
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম রেজা মিলন বলেন, আমি বরাদ্দের চাল ও টাকা সোমবার থেকে বিতরণ করবো। এখনো বিতরণ করা হয়নি।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান বলেন, আশশুনি সদরে ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি এমন অভিযোগ বেলা ১১টার দিকে আমার কাছে এসেছে। তবে তারপর চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে জানিয়েছে, তিনি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শেষ করেছেন।
তিনি কোন ত্রাণ বিতরণ করেননি প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব বলেছিলেন তিনি বিতরণ করেছেন। তবে বিষয়টি যাচাই করা হয়নি। এখনই খোঁজ নিচ্ছি।