লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর শঠি বাড়িতে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দুর্গা মহোৎসব।
এ উৎসবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে এবং গ্রাম পুলিশ আনসার ভিডিপি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এ দীর্ঘ উৎসব আনন্দে মেতে উঠেছে সনাতনীয় ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।
আজকে নবমী নারী পুরুষ নিমিষে সে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ পূজা উদযাপন করা হয়েছে। আগামীকাল দশমী বিসর্জন সবার রোগ শোক-দু দুঃখ দুর্দশা কামনা বাসনা করে মা দুর্গা। মর্ত থেকে স্বর্গে গমন করবেন।
ঈশ্বরের শক্তিরুপে প্রকাশ শ্রী শ্রী দূর্গা, দুর্গা দুর্গতি নাশেরও দেবী। শ্রী দুর্গার গায়ের রং অতসী ফুলের মত, পূর্ণিমা চাঁদের মত সুন্দর তার মুখ্য মন্ডল। তার তিনটি শো একটি শো ক কপালের মাঝখানে এজন্য দুর্গাকে ত্রিনয়নী বলা হয়। দেবীর দশটি হাত বিধায় তার নাম দশভূজা, যুদ্ধে দেবী প্রথমে দুর্গম নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন।
এছাড়া মহিষাসুর ও অসুর কুলের ছোট বড় অসংখ্য অসুর বধ হয়েছিল তার হাতে।
বিশ্বের সকল শক্তি মিলিত রূপ দুর্গা ঈশ্বরের মাতৃরূপে প্রকাশ দূর্গা,
তাই মর্তের লোকেরা মাটিরূপেই বেশি পূজা করেন। শ্রী দুর্গা মায়ের পূজা বছরে দুইবার হয়ে থাকে।
শরৎকালে দুর্গাপূজাকে শারদীয় দুর্গাপূজা এবং বসন্তকালে দুর্গাপূজাকে বাসন্তী পূজা বলে।
আশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষে সপ্তমীতে ক্রেতা যুগে রাম চন্দ্র শীতে দেবীকে উদ্ধারের জন্য তার অভীষ্ট পূরণের লক্ষ্যে দুর্গাপূজা করেন। এবং সত্য যুগে চট্ট্রি মাসে শুক্লপক্ষে রাজা সুরথ তার হৃত রাজা ফিরে পাবার জন্য দুর্গাপূজা করেন। তাই শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতনী ধর্মীয় লোকেরা এ পূজা করে থাকেন।
ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহত্তম উৎসব এই পূজা, শুধু দুর্গা একা নয় দুর্গার সাথে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, এবং নববর্তিকা অর্থাৎ প্রকৃতির সকল উদ্ভিদের প্রতিনিধি হিসেবে কলাবৌ এ পূজা হয়ে থাকে।
দুর্গার বর্ণনায় তার প্রয়োজন পড়ে প্রথমে দেবতাদের অসুররা দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতরণ করলে তাদের হৃত পূর্ণ উদ্ধার করতে ঈশ্বরের যে শান্তি প্রকাশ গলাতে হয়েছিল সেই শান্তির ূপ দুর্গা দুর্গার দশটি হাতে দশটি অস্ত্র আর বাহন ছিল সিংহ তার কৃপা হলে জীব সকল দুঃখ থেকে পরিত্রান প্রায়।