রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ধানের শীষের মনোনিত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া বলেছেন, “আমি বাগমারা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সেবক হয়ে থাকতে চাই। গরীবের বন্ধু হয়ে থাকতে চাই।”
“চেতনায় জাতীয়তাবাদ, বিপ্লবেই মুক্তি” -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার বিকেলে বাগমারায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ডিএম জিয়া। বিকেলে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ভবানীগঞ্জ আলুহাট এলাকায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্সাল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া।
ডিএম জিয়া বলেন, “জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজল, রাজশাহী জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শামসুজ্জো সরকার বাদশা, আউচপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন কারিগর, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সামা মিস্টার, নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, বাসুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াছিন আলী ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, শ্রীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালাম পারভেজ, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল শাহ, মাড়িয়া ইউনিয়নের সভাপতি হুজুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসাইন, গণিপুর ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল জব্বার খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বকুল, এবং জাসাস উপজেলা সভাপতি আব্দুল জলিল।
সভায় উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সংহতি দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।