মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বর্জন সত্ত্বেও দুই ঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু
অভিভাবকদের স্বস্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুখে ফেরেছে হাসি।
মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১লা ডিসেম্বর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত পরীক্ষার কথা থাকলেও শিক্ষক কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেড প্রদান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, তারা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে অতিরিক্ত সময় দিয়ে শেখানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই অপেক্ষায় ছিল পরীক্ষার আনন্দঘন মুহূর্তের জন্য। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষাকে কেবল মূল্যায়ন নয়, বরং একটি উৎসবের মতো অনুভব করে।
মোহাম্মদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা শুনেছি বলা হয় প্রাইমারির শিক্ষকরা নাকি ঠিকমতো পড়ান না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হলে আমরা ছুটির দিনে অতিরিক্ত সময় দিয়ে তা পুষিয়ে দেব।
পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার নেওয়ার ব্যর্থতা স্বীকার করেন। শেষে শিক্ষক সংকটের মাঝেও প্রধান শিক্ষক নিজ দায়িত্বে দুই ঘণ্টা বিলম্বে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে বাধ্য হন।
এই উদ্যোগে অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দেখা যায় স্বস্তির নিঃশ্বাস। অভিভাবকদের মতে, শিক্ষকরা দাবি আদায়ের আন্দোলন করতেই পারেন, তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়—সেদিকে সবারই নজর থাকা জরুরি।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষক দাবি ন্যায়সঙ্গত হলেও শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করে সমাধান খুঁজে বের করা সময়ের দাবি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যৎ—তাদের আবেগ ও শিক্ষাজীবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়াই হওয়া উচিত।