অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১৩ মাসে জেলার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ ভূখন্ড থেকে ১১৮ চোরাকারবারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৩৩ বিজিবি)। ওই সময়ে তাদের কাছ থেকে ৯০ কোটি ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ১৮০ টাকার মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ্য পণ্য উদ্ধার করেন তারা।
৩৩ বিজিবির অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৮মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। অথচ সীমান্তজুড়ে মাদক চোরাচালানী বন্ধ হয় না। সেই চোরাচালানী, মাদক ও সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ৩৩ বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলো। তাদের ওপর প্রদত্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে পালনের মাধ্যমে ওই সদস্যরা ২০২০ সালের মার্চ মাসে ২০ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১১৭ বোতল মদ, ৭৯৯ বোতল ফেন্সিডিল, ৩০৬ পিস ইয়াবা, ১১.৯৫ কেজি গাঁজা।
এপ্রিল মাসে ৭জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১৩ বোতল মদ, ৫৩৯ বোতল ফেন্সিডিল, ২৩৯ পিস ইয়াবা, ২৫.১ কেজি গাঁজা।
মে মাসে ০৫ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৬২৬ বোতল ফেন্সিডিল, ২১৯ পিস ইয়াবা, ৪১ কেজি গাঁজা।
জুন মাসে ৭জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৬ বোতল মদ, ১১৬৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৯৪ পিস ইয়াবা, ৩৬.১৫ কেজি গাঁজা।
জুলাই মাসে ৭ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৭ বোতল মদ, ১০০৫ বোতল ফেন্সিডিল, ১৪৩ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি গাঁজা।
আগস্ট মাসে ৬জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৩৫ বোতল মদ, ৬৪৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৮৭ পিস ইয়াবা, ২৯.৩ কেজি গাঁজা।
সেপ্টেম্বর মাসে ১০ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৫৯ বোতল মদ, ১৮৬৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৫৮২ পিস ইয়াবা, ৩২.৪ কেজি গাঁজা।
অক্টোবর মাসে ৮ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ২৪৫ বোতল মদ, ১৭৭৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৮.৬৭ কেজি গাঁজা।
নভেম্বর মাসে ১০জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১৭১ বোতল মদ, ১৯২১ বোতল ফেন্সিডিল, ৪৬ পিস ইয়াবা, ৮ কেজি গাঁজা।
ডিসেম্বর মাসে ৮ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৫৮ বোতল মদ, ২০৭৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৫৮ পিস ইয়াবা, ৩৮.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
এছাড়া ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ০৭ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১৫৭ বোতল মদ, ২৭৩০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৮.২৬ কেজি গাঁজা।
ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৩৯ বোতল মদ, ১৩৭৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১০৫ পিস ইয়াবা, ১৩.৫ কেজি গাঁজা।
মার্চ মাসে ০৭ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১৪০ বোতল মদ, ১৪৩৭ বোতল ফেন্সিডিল, ২৯৬ পিস ইয়াবা, ২৯.৬ কেজি গাঁজা।
এপ্রিল মাসে ০৪ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ৭৮ বোতল মদ, ২৮৩ বোতল ফেন্সিডিল, ৩০০ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
যার আনুমানিক মুল্য ৮৭ কোটি ১৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৬৮ টাকা। এছাড়াও ১৮ কোটি ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা মূল্যের ১৪৮টি হীরের আংটি, ৭ কোটি ৭১ লক্ষ ১ হাজার ১৮৮ টাকা মূল্যের ১২.১ কেজি স্বর্ণ, ২৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৪০ টাকার মূল্যের রৌপ্য উদ্ধার করেন।
৩৩ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মাদ আল মাহমুদ জানান, সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করোনাকালে ৩৩ বিজিবির সদস্যরা গত ১৩ মাসে ১১৮ জন চোরাকারবারীকে আটকের পাশাপাশি ১১১৫ বোতল মদ, ১৮২৪১ বোতল ফেন্সিডিল, ২৭৭৫ পিস ইয়াবা, ৩৩৮.১৩ কেজি গাঁজা ও ১৪৮টি হীরের আংটি, ১২.১ কেজি স্বর্ণ, ৩৭ কেজি রোপ্য উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ কোটি ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ১৮০ টাকা।