মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় শালিখা উপজেলার আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাই স্কুল মাঠে মাগুরা-২ আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিশাল এক সমাবেশের আয়োজন করে শালিখা উপজেলা বিএনপির একাংশ। যেখানে শালিখা উপজেলা ছাড়াও মহাম্মদপুর ও সদর উপজেলা চার ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল, শালিখা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন টুকু,সাবেক মহাম্মদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু ও সাবেক শালিখা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিসুর রহমান মিল্টন এক মঞ্চ থেকে এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।
প্রধান অতিথি বলেন,তৃনমুলের নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত নমিনেশন যাকে দেওয়া হবে আমরা তার কাজ করব। কিন্তু যদি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা ভাবতে হবে। পরে তিনি সমাবেশে আশা নেতা কর্মী জোর দাবীর প্রেক্ষিতে বলেন,মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে তিনি নির্বাচন করবেন বলে নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা মোজাফফর হোসেন টুকু বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা ভুল করেছেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস তারেক রহমান সাহেব ভুল করতে পারেন না। আমার প্রিয় নেতাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। মাগুরা-২ এর দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ স্থানীয় নেতারা কাজী কামালকে প্রার্থী দেখতে চায়। যদি মাগুরা-২ আসনকে বিএনপির দখলে নিতে হয় তবে এই এলাকার যার জনপ্রিয়তা বেশি তাকে মনোনয়ন দিতে হবে, নইলে বিএনপি এই আসন হারাবে। বিগত সরকারের সময় যে কোনো সাধারন কর্মীর সাথে যোগাযোগ রাখেনি তার মনোনয়ন আমরা মেনে নেব না।
এদিকে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নেতাই রায় চৌধুরী। এরপর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী শালিখা,মহম্মদপুর ও দক্ষিণ মাগুরা সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য কজী সালিমুল হক কামাল অনুসারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করলেও মন থেকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ক্ষোভ দেখা দেয় শালিখা উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যেও।