রাজশাহীর তানোরে এক গৃহবধূকে (৩৪) অপহরণ করে ভাড়া বাড়িতে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে তানোর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এজাহারটি দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে জোরপূর্বক তুলে নেয় স্থানীয় আসামিপক্ষের লোকজন।
অভিযুক্তরা হলেন— সাহাপুর গ্রামের সুমন (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৪৭) এবং পলাশ (৪২)।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ওইদিন অভিযুক্ত সুমন অপর দুই আসামীর সহযোগিতায় ভয়ভীতি দেখিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীকে বাসযোগে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ভাড়া করা রুমে দুই দিন আটকে রেখে সুমন তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর তাঁকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে এনে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সুমন।
ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের মা। বর্তমানে তিনি তানোর থানাধীন কলমা ইউনিয়নের অমৃতপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ঘটনার পর আসামিপক্ষ বিভিন্নভাবে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। শফিকুলসহ অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।