কেশবপুরে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব বুঝে দিতে পরিষদে আসেননি অধিকাংশ সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যানরা। গত বুধ ও মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার নবনির্বাচিত ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
দায়িত্ব গ্রহণ করা ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৫ জন নতুন ও ৫ জন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।নিয়ম অনুযায়ী বিদায়ী ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে হাজির হয়ে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। কিন্তু কেশবপুরে ৫ জন নতুন ইউপি চেয়ারম্যানের পৃথক দায়িত্ব গ্রহণের দিন মাত্র এক ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান পরিষদে এসেছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে দাওয়াত দিলেও তাঁরা হাজির হননি। সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানরা পরিষদে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও ইউপি সচিব নতুন চেয়ারম্যানকে বরণ করে দায়িত্ব বুঝে দিয়েছেন।জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে কেশবপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শপথ পাঠ করান যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এর পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন, মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস ও সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু। এ ৪ ইউনিয়নে নতুন চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে পরিষদে হাজির হননি সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানরা।তবে উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে এর ব্যতিক্রম। এ ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা প্রভাষক জুলমত আলী হাজির হয়েছিলেন দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় উপজেলা যুবলীগের সদস্য নবাগত চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানকে বুকে টেন নেন তিনি। এছাড়া ফুল দিয়ে বরণ করে পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানকে মিষ্টিমুখও করিয়েছেন জুলমত আলী। পরে এসব ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে তাঁরা বেশ প্রশংসিত হন। হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল ইসলাম বলেন, সদ্য সাবেক ও নবাগত ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে খুবই আনন্দঘন পরিবেশে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি হয়েছে।সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন দফাদারকে চিঠির মাধ্যমে ও ফোন করে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যক্তিগত কারণে আসতে না পারায় দায়িত্ব হস্তান্তর ফরমে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।এ বিষয়ে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন না। তাঁকে ফোন দিলে জানান, ‘তিনি পরিষদের সচিবের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন।ছবি ক্যাপশন- কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান পরিষদের মেম্বারদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে ও হাতে সম্মাননা স্মারক দিয়ে বরণ করেন।