কেশবপুরে নিত্যপণ্যেও ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে বেসামাল মধ্যবিত্তরা সরকার পরিচালিত ন্যায্যমূল্যের দোকানের চাল,আটার আশায় দুস্থ’র পাশাপাশি ভোর থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেÿা করছেন।
এ কার্যক্রম পৌর এলাকায় দ্বিতীয় বারের মত চলমান রয়েছে। ফলে দূর-দূরাত্ব থেকে আসা মানুষেরা ভীড় করছেন। তবে কিছু অসাধু লোক একাধিক বার চাল,আটা উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেছেন বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। ফলে প্রতিদিন ভূক্তভোগীরা কাঙ্খিত চাল,আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন। এদের প্রতিহত করতে সংশিস্নষ্টদের হস্থÿেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। জানা গেছে, করোনা পরবর্তী সময়ে কর্মহীন অসহায় ও দুস্থ মানুষের পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে গত ২০ জানুয়ারি থেকে কেশবপুরে সরকার পরিচালিত ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্যক্রম শুরম্ন হয়। নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম ও কৃষিকর্ম না থাকায় বর্তমান শ্রমজীবী পরিবারের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা দূর্বিসহ জীবন যাপণ করছেন। তাই বেসামাল মধ্যবিত্ত পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সরকার ওমমএস কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিকেজী চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে। এরজন্যে কেশবপুর পৌর শহরে ৪ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এরা হলেন, শহরের ধানহাটায় অহেদুজ্জামান বিশ্বাস,গমপট্টিতে স্বপন মুখার্জি,কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের পাশে বিষ্ণুপদ দাস ও কালাবায়সা মোড় এলাকায় জয় ভদ্র জগায়। ডিলাররা প্রতিদিন এক মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বিক্রি করতে পারবেন। ডিলাররা শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের ৬ দিন খাদ্যগুদাম থেকে চাল,আটা উত্তোলন করে মাথাপ্রতি ৫ কেজী হারে বিক্রি করেন। ওএমএস দোকানে স্বল্পমূল্যে চাল,আটা দেয়ার খবরে দুস্থ’র পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত্ম দুস্থ ও মধ্যবিত্তরা মাত্র ৫ কেজী চাল,আটার আশায় ওএমএস দোকানে দীর্ঘ লাইনে অপেÿা করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গম পট্টির ওএমএস ডিলার স্বপন মুখার্জি দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রামচন্দ্রপুর গ্রামের হাসিনা বানু ও সুজাপুর এলাকার খোদেজা বেগম জানান,পরিবার প্রধানরা ভ্যান চালক। ৬ জনের সংসারে ৫ কেজী চাল একদিনেই শেষ হয়ে যায়। নগদ টাকার অভাবে বেশী চাল কিনতে পারি না।যেদিন চাল তুলতে হয় সেদিন কাজ বন্ধ করে লাইন দিতে হয়। তারা এ কার্যক্রম চলমান থাকার দাবি জানান। তবে কিছু কিছু অসাধু লোক একাধিক বার চাল,আটা উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন। বিষ্ণুপদ দাসের দোকানে গিয়ে কথা হয় মজিদপুর দাসপাড়ার লÿীরাণী দাস ও শ্রীফলা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সেলিনা বেগমের সাথে। তারা জানান,তাদের পরিবার প্রধানরা কৃষিকাজ করলেও বর্তমান মাঠে কাজ কম,নিত্যপণ্যেও দামও চড়া। ঘরেও চাল নেই। তাই ওমমএস দোকানে এসেছেন চাল নিতে। ডিলার স্বপন মুখার্জি ও বিষ্ণুপদ দাস বলেন,আটার ব্যাপক চাহিদা থাকায় মধ্যবিত্তদের মধ্যে সাড়া পড়েছে। খাদ্য গুদাম থেকে যে চাল আটা দেয়া হয় তা বেলা সাড়ে ১১টার আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকেই চাল,আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন,প্রতিটি ওএমএস দোকানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে মানুষ চাল,আটা কিনছেন। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের তদারকিতে ডিলাররা চাল,আটা বিক্রি করছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত্ম ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রম সারা বছর অব্যাহত থাকলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে কালোবাজারিরা সুবিধা করতে পারবে না।