সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির মহম্মদপুর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন। মাগুরার জেলা প্রশাসক শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন শ্যামনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ সচেতনতা প্রচারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং সেচ্ছাসেবী দল গঠন  মাগুরার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মিনা মাহমুদার যোগদান মহম্মদপুরে গণঅধিকার পরিষদের নতুন সদস্যদের যোগদান সভা অনুষ্ঠিত মাগুরা ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৮০কেজি গাঁজা সহ দুজন মাদক ব্যবসায়ী আটক নানা আয়োজনে মাগুরার মহম্মদপুরে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন মহম্মদপুরে বৃদ্ধকে জনসম্মুখে মাথা ন্যাড়াসহ গোঁফ কেটে দেওয়ার অপরাধে ত্রিনাথ শীলকে আটক করেছে পুলিশ মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে স্বামী -স্ত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা – ভিভিও লিংক বন্ধুকে হত্যা করে, বন্ধুর বাইকেই ঘুরে বেড়াল তার বান্ধবীকে নিয়ে। মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মহম্মদপুরের চাকুলিয়ায় আকস্মিক হামলায় আহত ৬ বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট ! মাগুরার শ্রীপুরে ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি ভেঙ্গে, আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহম্মদপুরে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির ঈদ পুনর্মিলন উদযাপন গ্রিন মাগুরা ক্লিন মাগুরা আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন জেলা প্রশাসক মহম্মদপুরে বেসরকারি ভাবে আ:মান্নান চেয়ারম্যান নির্বাচিত মহম্মদপুরে ছাত্র-ছাত্রী বিহীন চলছে এমপিও প্রতিষ্ঠান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠান
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

আজ পয়লা ‘কার্তিক’ বদলে গেলো বাংলা দিনপঞ্জি

মাগুরার কথা ডেক্স / ৫৬১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩২ অপরাহ্ন

ঝিনুক টিভি ডেস্ক-

বদলে গেছে বাংলা দিনপঞ্জি। চলতি ১৪২৬ বঙ্গাব্দে প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার আশ্বিন মাসের গণনা শুরু হয়েছে ৩১ দিন হিসাবে। বাংলা একাডেমি দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বাংলা বর্ষপঞ্জির এই সংস্কার করেছে। জাতির ইতিহাসের গৌরবময় দিনগুলো বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে অভিন্ন তারিখে সমন্বয় করতেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে এই সংস্কার আনা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি জানায়, নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন—এই ছয় মাসের হিসাব হবে ৩১ দিনে।(এত দিন বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাঁচ মাস ৩১ দিন হিসাবে গণনা হতো)। কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র—এই পাঁচ মাস হবে ৩০ দিন (আগে আশ্বিন থেকে চৈত্র—এই সাত মাস ৩০ দিন ছিল)। এখন ফাল্গুন মাস হবে ২৯ দিন এবং গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে যে বছর অধিবর্ষ হবে (লিপইয়ার) সে বছর বাংলায় ফাল্গুন মাস ৩০ দিন গণনা করা হবে। আগামী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ অধিবর্ষ, তাই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ফাল্গুন মাসও হবে ৩০ দিন।

বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় দিন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন। কিন্তু সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি পড়ত ৯ ফাল্গুন। একইভাবে মহান বিজয় দিবস ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল পয়লা পৌষ, বাংলা পঞ্জিকায় দিনটি পড়ত ২ পৌষ।

কবিগুরুর জন্মদিন ২৫ বৈশাখ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ১১ জ্যৈষ্ঠ গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির সঙ্গে মিলত না। এই বিশৃঙ্খলা দূর করে দুই বর্ষপঞ্জির মধ্যে দিন গণনার সমন্বয় করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুন, স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ১২ চৈত্র, বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পয়লা পৌষ, রবীন্দ্রজয়ন্তী ৮ মে ২৫ বৈশাখ, নজরুলজয়ন্তী ২৫ মে ১১ জ্যৈষ্ঠ—এমন করে সব বিশেষ দিবস বাংলা ও গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির দিন গণনায় অভিন্ন হবে।

বাংলা দিনপঞ্জির বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ১৯৫০–এর দশকে। ভারত সরকার স্বনামখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে প্রধান করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি করা হয়। এই কমিটি বাংলা ও গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জির সমন্বয় করে। ২০১৯ সালের সরকারি গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকায় ১৪২৫-১৪২৬ সালের নতুন সুপারিশ করা বাংলা সনের তারিখ সমন্বয় করা হয়। সে অনুসারে সরকারি দিনপঞ্জিকায় গতকাল ১৬ অক্টোবর ৩১ আশ্বিন উল্লেখ করা হয়েছে। আজ ১৭ অক্টোবর পয়লা কার্তিক।

বাংলা দিনপঞ্জিকার এই সংস্কার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বহুদিন থেকেই দিনপঞ্জির সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিতে এই সংস্কার করেছি। কিন্তু ভারতে এটা করা হয়নি। মেঘনাদ সাহার মতো বিজ্ঞানীর প্রস্তাব ভারত গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে দুই বাংলায় দুই রকম দিনপঞ্জির ব্যবহার হবে। আমরা আমাদের দিনপঞ্জিকার আধুনিকায়ন করে জাতীয় দিবসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে পেরেছি, এটা আমাদের একটা বড় অগ্রগতি।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!