আসাদ উল্লাহ বাবলু,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ৬ষ্ঠ এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় কে.বি.এ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আটক হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে আশাশুনি উপজেলা সদরের কোদন্ডা গ্রামে। থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক মইনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। এজাহার সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার সময় ছাত্রীর পিতা-মাতা বাঁশ কাটার কাজে বাড়ীতে না থাকার সুযোগে কোদন্ডা গ্রামের মৃত বাবর আলী কারিকরের পুত্র মঈনুর ইসলাম তাদের বাড়ীতে যায়। ছাত্রী যথানিয়মে শিক্ষকের সাথে কুশল বিনিময় করে বারান্দায় চেয়ারে বসতে দেয়। এক পর্যায়ে মইনুর অভিভাবকদের অবস্থান জেনে শুনে আচ করে ছাত্রীকে কথা আছে বলে ঘরের ভেতরে ডেকে নেয়। কোমলমতি শিশু ছাত্রী (!) সরল মনে শিক্ষকের ডাকে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর মঈনুর মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে চুমু খেয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এক পর্যায়ে মঈনুর মেয়েটির বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি তার ঢাকায় থাকা বড় বোনের সাথে মোবাইলে কথা বলার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। বেলা ১২টার দিকে মঈনুর পুনরায় মেয়েটির বাড়ীতে আসলে বাড়ীর লোকজন থানা পুলিশকে জানায়। থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মেয়েটির বাড়ী যেয়ে মঈনুর ইসলামকে আটক করে এবং ভিকটিমকে থানা নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে মঈনুর কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১০, তাং-০৯/১০/২০২০। এ ব্যাপারে শিক্ষক মঈনুর ইসলাম জানান, আমি মেয়েটির বাড়ী যায় এবং স্কুলের বেতনের কথা বলি। ছাত্রীটি বলেন, আমার বাবা মা বাড়ী নেই। এরপর আমি আমার বাড়ীতে ফিরে আসি। ছাত্রীটি মেধাবী হওয়ায় ছোট বেলা থেকে আমি তাকে কোলে পিঠে করে যত্ন করি। শ্লীলতাহানীর ঘটনা অমুলক। শ্লীলতাহানীর ঘটনা শুনে কোদন্ডা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির সঙ্গে সরল বিশ্বাসে আমি পুনরায় মেয়েটির বাড়ীতে আসি। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে আটক করে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দী নিয়েছি, মামলা এজাহার ভুক্ত হয়েছে। আরও অধিকতর তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।